
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত—তাদের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “ইরানি জাতি চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ কিংবা চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াবে। এই জাতি কখনোই চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করবে না।” ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই বিবৃতি পাঠ করে শোনান এক উপস্থাপক।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, “যারা ইরান, এর জনগণ এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানে, তারা কখনোই হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করতে শেখেনি।”
খামেনি উল্লেখ করেন, এই ঘটনাগুলো এমন সময় ঘটছে যখন ইরানি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় ছিল, এবং তেহরানের পক্ষ থেকে কোনো সামরিক পদক্ষেপ বা কঠোর প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত ছিল না।
তিনি বলেন, “শুরু থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল—জায়নবাদী (ইহুদিবাদী) সরকারের যেকোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের বক্তব্য সেই সন্দেহকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
খামেনি আরও বলেন, “ইহুদিবাদী শত্রুদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইরানি জাতি ও সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে তারা সেই শাস্তি পেতে শুরু করেছে।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে দাবি করেন, আয়াতোল্লাহ খামেনির অবস্থান তাদের জানা, তবে অন্তত এই মুহূর্তে তাকে হত্যার পরিকল্পনা নেই।
ট্রাম্পের এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) টেলিগ্রামে লিখেছে, “আমেরিকান মিথ্যাবাদী প্রেসিডেন্টের জানা উচিত—ইরান সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। সেই পরিস্থিতি হবে কঠিনতম। যা শুধু আমেরিকার স্বার্থ নয়, বরং গোটা পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থ পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।”
আয়াতোল্লাহ খামেনি বলেন, “আমেরিকানরা এবং যারা এই অঞ্চলের রাজনীতিকে চেনে, তারা জানে—এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা তাদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হবে। এই আঘাত ইরানের ক্ষতির তুলনায় বহুগুণ বেশি ভয়াবহ হবে।”
রিফাত