
ছবিঃ সংগৃহীত
জমির মালিকানা প্রমাণে নামজারি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি দীর্ঘদিন ধরে জটিল ও দুর্বোধ্য একটি বিষয় ছিল। তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি সহজ নিয়মে নামজারি পদ্ধতি চালু করেছে, যা আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে।
প্রথম নিয়ম:
যারা উত্তরাধিকারসূত্রে জমির মালিকানা লাভ করেছেন, তারা এখন সহজেই নামজারি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে একটি ওয়ারিশান সনদ, যা ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তবে ওয়ারিশান সনদে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সঠিক বানান ও তথ্য থাকতে হবে। এরপর সর্বশেষ রেকর্ড খতিয়ান এবং ওয়ারিশান সনদসহ ভূমি অফিসে বা যেকোনো কম্পিউটার দোকানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে সব ওয়ারিশদের একসঙ্গে যৌথভাবে আবেদন করতে হবে। পরে তাদের যৌথ খতিয়ানভুক্ত করে নামজারি সম্পন্ন হবে।
দ্বিতীয় নিয়ম:
যদি কেউ তার অংশটুকু আলাদাভাবে নামজারি করতে চান, তবে তার জন্য প্রয়োজন হবে একটি বন্টননামা দলিল। এই দলিল সব উত্তরাধিকারীদের সম্মতিতে সম্পাদন করতে হবে। সরকার এই দলিলের নিবন্ধন ফি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে। যেমন: আগে যেখানে ৮ হাজার টাকা উৎস কর দিতে হতো, এখন তা কমে হয়েছে ৬ হাজার টাকা। জুলাই থেকে এই নিয়মও কার্যকর হবে, ফলে স্বল্প খরচে নামজারি করা সম্ভব হবে।
তৃতীয় নিয়ম:
২১টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া “অটোমেশন সিস্টেম” সারা দেশে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় দলিল নিবন্ধনের সময়ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারিও সম্পন্ন হবে। সাব-রেজিস্ট্রার ও এসিল্যান্ড অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে জমির মালিকরা বাড়তি খরচ ছাড়াই একবারে দলিল ও খতিয়ান পেয়ে যাবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ যদি এই প্রক্রিয়ায় অনিয়ম বা ঘুষ গ্রহণের চেষ্টা করেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নামজারির জন্য নির্ধারিত ফি-এর বাইরে কোনো বাড়তি অর্থ দিতে বাধ্য হওয়ার দরকার নেই।
ইমরান