ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার ৫টি উপায়

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ১৮ জুন ২০২৫

একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার ৫টি উপায়

ছবি: সংগৃহীত।

বর্তমান সময়ের দ্রুতগামী ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে একাকীত্ব বা "লোনলিনেস" এক নীরব মহামারি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। কর্মব্যস্ততা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, ভার্চুয়াল যোগাযোগের আধিক্য এবং সম্পর্কের জটিলতা—সব মিলিয়ে অনেকেই ধীরে ধীরে সমাজ থেকে আলাদা হয়ে পড়ছেন। এই একাকীত্ব কখনো কখনো উদ্বেগ, হতাশা এমনকি আত্মহত্যার চিন্তাকেও উসকে দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

মনোরোগ চিকিৎসকরা জানান, একাকীত্ব কেবল সময় কাটাতে না পারার সমস্যা নয়, এটি ধীরে ধীরে একজন মানুষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। এটি মোকাবিলা করতে হলে সচেতন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে ৫টি উপায় কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে:

১. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন গঠনমূলক কাজে:
বই পড়া, চিত্রাঙ্কন, রান্না, বাগান করা কিংবা লেখালেখির মতো সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মনের ওপর চাপ কমে। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে।

২. প্রতিদিন কারো সঙ্গে কথা বলুন:
পরিবার, বন্ধু কিংবা সহকর্মী—যেকোনো একজনের সঙ্গে প্রতিদিন কিছুক্ষণ কথা বলুন। কেবল একটি ফোন কল বা মেসেজও আপনাকে মানসিকভাবে অনেকটাই হালকা করে দিতে পারে।

৩. সমাজের সঙ্গে যুক্ত থাকুন:
স্থানীয় কোনো সামাজিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা বইপাঠের ক্লাবে যুক্ত হওয়া যেতে পারে। এতে নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়, বন্ধুত্ব তৈরি হয় এবং একাকীত্ব দূর হয়।

৪. ডিজিটাল সংযুক্তি নয়, বাস্তব সংযোগ গড়ে তুলুন:
সোশ্যাল মিডিয়াতে হাজার বন্ধুর চেয়ে একজন বাস্তব বন্ধুর সঙ্গ অনেক বেশি প্রভাব ফেলে মানসিক সুস্থতায়। চেষ্টা করুন সামনে বসে কথা বলার সুযোগ তৈরি করতে।

৫. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
যদি একাকীত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করে, তবে দেরি না করে একজন প্রশিক্ষিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। থেরাপি বা কাউন্সেলিং অনেক সময় চমৎকার ফল দেয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, একাকীত্বকে লজ্জার বিষয় হিসেবে না দেখে, এটিকে মানসিক স্বাস্থ্যচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা উচিত।
নিজেকে ভালোবাসা ও নিজের যত্ন নেওয়াটাই একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় পথ।

মিরাজ খান

×