
ছবিঃ সংগৃহীত
আম — শুধু গ্রীষ্মকালীন ফল নয়, বরং একে বলা চলে একটি প্রকৃতিক পুষ্টি ভান্ডার। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু জিভে তৃপ্তিই আনে না, বরং শরীরকে দেয় নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন দেখে নিই প্রতিদিনের ডায়েটে আম যোগ করার ৮টি অসাধারণ কারণ:
পুষ্টিগুণে ভরপুর
আমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C, A, E, ফোলেট, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক কাপ আমেই পাওয়া যায় দৈনিক প্রয়োজনের ৬৭% ভিটামিন C, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি, কোষ মেরামত ও দেহের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
হজম শক্তি বাড়ায়
আমে রয়েছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার, যা হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটিয়ে গাট হেল্থ উন্নত করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ফাইবার বেশি থাকায় আম দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া বা অনিয়ন্ত্রিত স্ন্যাকিং কমে। এটি কম ক্যালোরি এবং পুষ্টিকর ফল, যা ওজন কমানোর ডায়েটে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের যত্নে
ভিটামিন A, C ও E সমৃদ্ধ আম ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, এবং চুলকে করে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল—তাও কোনো প্রকার কেমিক্যাল সাপ্লিমেন্ট ছাড়া।
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
আমে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার শরীরে ক্ষতিকর এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, রক্তনালীতে জমা প্লাক হ্রাস করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন C, A, E এবং তামা (Copper) থাকায় আম হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি ও ত্বকের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করে, যা দেহকে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
আমে রয়েছে লুটেইন, জ্যাক্সানথিন ও ভিটামিন A, যা চোখকে নীল আলো থেকে রক্ষা করে, শুকনো চোখ ও রাতকানা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ম্যাকুলার ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
সহজেই খাবারে যুক্ত করা যায়
আম অত্যন্ত বহুমুখী ফল—স্মুদি, সালাদ, সালসা কিংবা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। চাইলেই ফ্রেশ বা গ্রিল করে উপভোগ করা যায়। তবে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় মিতপরিমাণে খাওয়া বাঞ্ছনীয়।
নোভা