
ছবিঃ সংগৃহীত
স্তন ক্যানসার এমন এক রোগ, যা চুপিচুপি আসে। শুরুতে বোঝাই যায় না—হালকা একটা গাঁট বা ত্বকে সামান্য ভাঁজ পড়া, এসব অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সময় গেলে বুঝতে হয়, এই অবহেলার মাশুল অনেক বড়। তখন চিকিৎসা হয় কঠিন, ব্যয়বহুল আর মানসিকভাবে ভীষণ কষ্টকর।
অনেকেই এই যাত্রা শেষে বলেন, “আগে যদি বুঝতাম... যদি একটু সচেতন থাকতাম!” এই আফসোসটাই সবচেয়ে বেশি পোড়ায়।
প্রথম দিকে ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। অনেক সময় শুধু ছোট একটা অপারেশনেই সমাধান সম্ভব। কিন্তু দেরি হলে লাগে কেমোথেরাপি, বড় অস্ত্রোপচার, এমনকি স্তন কেটে ফেলাও। এসব শুধু শরীরেই না, মনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
নিয়মিত ম্যামোগ্রাম কিংবা ডাক্তার দেখানো—এই সাধারণ কাজগুলোই পারে বড় বিপদ ঠেকাতে। বিশেষ করে যাঁদের পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস আছে, তাঁদের জন্য এই সচেতনতা আরও জরুরি।
যাঁরা এই লড়াইয়ে নেমেছেন, তাঁদের অনেকেই বলেন—“শুরুতেই যদি জানতাম, জীবনটা এমন কঠিন হতো না।” এই কথাগুলো শোনার পরেও যদি আমরা উদাসীন থাকি, তাহলে সেই একই কষ্ট হয়তো আমাদের জন্যও অপেক্ষা করছে।
তাই এখনই সময়। নিজের শরীরকে ভালোবাসুন, সময় নিয়ে নিজেকে পরীক্ষা করুন, নিয়মিত চেকআপে যান। আজকের ছোট্ট একটা সিদ্ধান্ত আপনাকে ভবিষ্যতের অনেক বড় কষ্ট থেকে বাঁচাতে পারে।
আপনার ভবিষ্যতের “আমি” হয়তো তখন বলবে, “ধন্যবাদ, তখন সতর্ক হওয়ায়।”
মারিয়া