
ছবিঃ সংগৃহীত
সকালে ঘুম ভেঙে এক গ্লাস ঢেঁড়সের পানি খাওয়ার নাম শুনেছেন? অনেকেই আজকাল এই সহজ অভ্যাসটি গড়ে তুলছেন – বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, হজমের সমস্যা বা ওজন নিয়ে ভাবছেন। ঢেঁড়সের পানি নতুন কোনো ওষুধ নয়, তবে প্রকৃতির এক সুন্দর উপহার বলা চলে। চলুন জেনে নিই, কীভাবে এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে বদল আনতে পারে।
১. রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ডায়াবেটিস আছে? ঢেঁড়সের পানি হতে পারে আপনার বন্ধু। ঢেঁড়সে থাকে অনেকটা আঁশ, যা শরীরে চিনির শোষণ ধীর করে দেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ হঠাৎ বাড়ে না। নিয়ম করে খেলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হতে পারে।
২. হজমের বন্ধু
পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের গ্যাড়াকলে পড়েছেন? ঢেঁড়সের ভেতরের সেই হালকা ‘লেজি’ ভাব – যেটা রান্নায় অনেকেই অপছন্দ করেন – আসলে খুব উপকারী। এটা হজমনালিতে এক ধরনের প্রাকৃতিক মলমের মতো কাজ করে, অন্ত্রকে নরম রাখে, আর মলত্যাগ সহজ করে।
৩. হৃদয়ের খেয়াল রাখে
ঢেঁড়সের আঁশ আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এটি হৃদযন্ত্রের আশপাশের রক্তনালীগুলোকে সুস্থ রাখে। যারা পরিবারে হার্টের সমস্যা নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তারা ঢেঁড়সের পানিকে সহায়ক অভ্যাস হিসেবে ভাবতেই পারেন।
৪. ওজন কমাতে সহায়তা করে
ওজন কমাতে চান, কিন্তু ক্ষুধা সামলাতে কষ্ট হচ্ছে? ঢেঁড়সের পানি খেলে পেট কিছুটা ভর্তি মনে হয়, ফলে কম খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ক্যালোরিও কম। যদিও একে ‘জাদু পানীয়’ ভাবা ভুল, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে এটি বেশ সহায়ক।
৫. কীভাবে বানাবেন ঢেঁড়সের পানি?
খুবই সহজ!
- ২-৩টি তাজা ঢেঁড়স নিন
- ভালোভাবে ধুয়ে দুই পাশ কেটে নিন
- মাঝখান দিয়ে ফালি করুন
- এগুলো একটি গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত
- সকালে ঢেঁড়স তুলে ফেলে দিন, আর পানি খালি পেটে পান করুন
টিপ: সপ্তাহে ২–৩ দিন খেলেই যথেষ্ট। প্রতিদিন খাওয়ার দরকার নেই।
ঢেঁড়সের পানি কোনো ম্যাজিক নয়, কিন্তু এটা হতে পারে একটি সহজ, প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। দেহের ভেতরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ছোট্ট অভ্যাস বড় কাজে আসতে পারে। তবে কোনো বড় অসুস্থতা থাকলে অবশ্যই আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মারিয়া