
ছবি: সংগৃহীত
সারা দেশে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। তাপপ্রবাহের কারণে বাড়ছে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনসহ নানা রোগের ঝুঁকি। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন যা অনুসরণ করলে তীব্র গরমেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
নিচে তীব্র গরমে সুস্থ থাকার ৫টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো:
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়, যা পূরণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। সঙ্গে লবণ-চিনির শরবত, ডাবের পানি বা ওআরএস জাতীয় পানীয়ও উপকারী।
২. হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন:
গরমে হালকা রঙের, সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা শ্রেয়। এসব পোশাক শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয় এবং ঘামের পরিমাণও কমিয়ে আনে। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় টুপি, ছাতা কিংবা সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত।
৩. সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন:
দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ সর্বোচ্চ থাকে। এই সময় বাইরে বের না হওয়াই ভালো। যদি একান্তই বের হতে হয়, তাহলে অবশ্যই ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করুন এবং ছায়াযুক্ত পথে চলার চেষ্টা করুন।
৪. হালকা খাবার গ্রহণ করুন:
গ্রীষ্মকালে ভারী ও তেল-মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর পরিবর্তে শাকসবজি, ফলমূল, দই ইত্যাদি ঠান্ডা প্রকৃতির ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। তরমুজ, খিরসা, শসা ইত্যাদি পানিসমৃদ্ধ ফল শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
৫. বাড়িতে তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জানালা খোলা রাখা, পর্দা টেনে রাখা এবং প্রয়োজনে ফ্যান কিংবা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে একাধিকবার গোসল করাও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: তীব্র গরমে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। সামান্য অসুস্থতা অবহেলা করলে তা বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
তাই এই গরমে সচেতন থাকুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মিরাজ খান