
ছবি; সংগৃহীত
২০২৫ সালে আরও টেকসইভাবে ভ্রমণ করার প্রয়াসে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আপনি যদি আপনার পরবর্তী ছুটির পরিকল্পনা করছেন এবং ভ্রমণের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে চান, তাহলে কয়েকটি বাস্তবমুখী ও সহজ উপায় মাথায় রাখা জরুরি।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮৪% বৈশ্বিক পর্যটক টেকসই ভ্রমণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। তবে Trip.com-এর তথ্যমতে, প্রায় অর্ধেক পর্যটকই এখনও নিশ্চিত নন কীভাবে টেকসইভাবে ভ্রমণ করতে হয়। ২০২৫ সালের World Travel & Tourism Council-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ভ্রমণের অন্যতম বাধা হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যয়।
এমন ভ্রমণ বেছে নিন যা ফেরত দেয়: রিজেনারেটিভ ভ্রমণ মানে শুধু প্রকৃতিকে সংরক্ষণ নয়, গন্তব্য অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব রাখার উদ্যোগ নেওয়া। ফিজির ‘লোলোমা আওয়ার’, হাওয়াইয়ের ‘মালামা’ অভিজ্ঞতা কিংবা ইকুয়েডরের ইকো-লজগুলো এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
শুধু পরিবেশ নয়, ভাবুন সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়েও: স্থানীয় গাইড নিয়োগ, সচেতন কেনাকাটা এবং ভিড় এড়িয়ে চলা—এসব উদ্যোগ স্থানীয় সমাজের ওপর ভ্রমণের চাপ কমায়। নেপালের নতুন "কমিউনিটি সার্কিট" বা কলম্বিয়ার আদিবাসীদের সঙ্গে সংযুক্ত ভ্রমণ তারই প্রতিফলন।
হোটেলগুলোর কাছ থেকে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করুন: ২০২৫ সালে যুক্তরাজ্যে চালু হয়েছে IHG-এর প্রথম নেট-জিরো হোটেল। দক্ষিণ আফ্রিকার Few & Far Luvhondo হোটেল নবায়নযোগ্য শক্তিতে চালিত এবং পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত।
গন্তব্যের পাশাপাশি যাত্রাপথটিও বিবেচনায় নিন: রেলযাত্রার পরিবেশবান্ধব সুবিধা বাড়ছে। পর্তুগাল-স্পেন সংযোগকারী হাই-স্পিড রেল, ইটালির La Dolce Vita ট্রেন কিংবা Google Flights-এর কার্বন পরিসংখ্যান সবই সহায়ক।
কৌতূহলী হন, গভীরভাবে সংযুক্ত হন: অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট নেশন অভিজ্ঞতা, ওকলাহোমার Chickasaw Cultural Center কিংবা কেনিয়ার রাইনো সংরক্ষণ সাফারি—সবই একটি স্থায়ী অভিজ্ঞতা ও সংযোগ গড়ে তোলে।
অ্যাপ ব্যবহার করুন: ভ্রমণ পরিকল্পনায় CoolClimate Calculator, AllTrails, Droply বা Happy Cow অ্যাপ আপনাকে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
শহীদ