
ছবি: সংগৃহীত
টাক মাথায় চুল গজানো কি আসলেই সম্ভব?
চুল পড়া বা টাক সমস্যা অনেকের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ। বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া বা পুরুষদের টাক পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো—একবার চুল পড়ে গেলে কি নতুন করে চুল গজানো সম্ভব?
বিশেষজ্ঞদের মতে, টাক মাথায় নতুন চুল গজানো নির্ভর করে টাকের ধরন ও কারণের ওপর। কিছু ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে এলেও, চুলের গ্রোথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় চুল গজানো কঠিন হতে পারে। তবে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করলে চুল পড়া রোধ করা ও নতুন চুল গজানো সম্ভব।
চুল গজানোর সম্ভাব্য উপায়
১. মিনোক্সিডিল (Minoxidil)
এটি একটি প্রমাণিত ওষুধ যা চুলের ফলিকল সক্রিয় করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে কিছু ক্ষেত্রে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকে।
২. ফিনাস্টেরাইড (Finasteride)
পুরুষদের হরমোনজনিত টাক পড়া কমাতে ফিনাস্টেরাইড ব্যবহার করা হয়। এটি হেয়ার ফলিকল রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বাড়ায়।
৩. পিআরপি থেরাপি (Platelet-Rich Plasma Therapy)
রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করে টাকের স্থানে ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা চুলের ফলিকল সক্রিয় করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ফলাফল দেয়।
৪. হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট
যাদের মাথার কিছু অংশে চুল রয়ে গেছে, তাদের জন্য হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এতে মাথার পেছন দিক থেকে চুল নিয়ে টাকের স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়।
৫. প্রাকৃতিক উপায়
পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার উপাদান নতুন চুল গজাতে সহায়তা করতে পারে।
অ্যালোভেরা জেল: মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গ্রোথ বাড়ায়।
ম্যাসাজ ও ভালো ডায়েট: নিয়মিত মাথার ত্বক ম্যাসাজ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
যদি চুলের ফলিকল পুরোপুরি মারা না যায়, তবে বিভিন্ন চিকিৎসা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে নতুন চুল গজানো সম্ভব। তবে যদি একবার চুলের ফলিকল স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে চুল গজানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হলো হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট।
তাই যারা চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিলে টাক হওয়ার আগেই চুল রক্ষা করতে পারবেন। তবে যাদের ইতিমধ্যে টাক পড়ে গেছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কার্যকর সমাধান নিতে পারেন
কানন