
ছবিঃ সংগৃহীত
আজকের ডিজিটাল ও ব্যস্ত জীবনে অনেক অভ্যাস আমাদের অজান্তেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতি, মনোযোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে এমনই ৫টি অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি যদি নিয়মিত করে থাকেন, তাহলে এখনই সতর্ক হওয়া জরুরি।
১. অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনে চোখ রাখার অভ্যাস
টেলিভিশন, মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখ রাখলে চোখের উপর চাপ পড়ে এবং মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতাও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। ডিজিটাল মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো মনোযোগ কমায়, স্মৃতিগঠন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে এবং মানসিক স্থিতিশীলতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে।
২. অলস জীবনযাপন
শরীরচর্চার অভাবে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, ফলে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ ব্যাহত হয়। দীর্ঘ সময় বসে থাকা মস্তিষ্কের আকার পর্যন্ত ছোট করে দিতে পারে, বিশেষ করে যে অংশগুলো শেখা ও স্মৃতি সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত।
৩. অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস
প্রসেসড সুগার, ট্রান্স ফ্যাট এবং কেমিক্যালযুক্ত খাবার মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং স্নায়বিক সংকেত আদান-প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করে। ওমেগা-৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বি ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণ বাদ দিলে মনোযোগ, স্মৃতি ও মেজাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে মস্তিষ্কের টক্সিন পরিষ্কার হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে স্মৃতিগঠন, শেখার ক্ষমতা ও মানসিক স্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং এমনকি আলঝেইমারসের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকা
মানুষ সামাজিক প্রাণী, তাই একাকীত্ব ও সামাজিক সংযোগের অভাব মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ দুর্বল করে দেয়। মন খুলে কথা বললে মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়।
নোভা