
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই রাত জেগে কাজ করা বা বিনোদনের জন্য দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালবেলা ঘুমিয়ে কাটান। তবে এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে শরীর ও মনের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সকালে ঘুমানোর অভ্যাস জীবনযাত্রা, শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির ব্যাঘাত:
প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীর দিন ও রাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে। সকালে ঘুমালে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, যার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট:
সকালবেলা সূর্যের আলো শরীরে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে। তবে সকালে ঘুমালে মেলাটোনিন ও কর্টিসলসহ বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা ক্লান্তি ও বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি ও বিপাকক্রিয়া সমস্যাগ্রস্ত হওয়া:
দৈনিক রুটিন এলোমেলো হলে হজমপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয় এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। সকালে ঘুমানোর ফলে অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস ও অন্যান্য বিপাকজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি:
সকালে ঘুমালে দিনব্যাপী ক্লান্তি ও হতাশা অনুভূত হতে পারে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন এমন অভ্যাস থাকলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা কর্মক্ষেত্র বা শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সামাজিক ও কর্মজীবনের ব্যাঘাত:
সকালবেলা ঘুমানোর কারণে কাজের সময়সূচি ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের জন্য সময়মতো ক্লাস বা অফিসে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়, যা কর্মদক্ষতা ও পেশাগত সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে ঘুমানোর বদলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শরীর ও মনের সুস্থতা নিশ্চিত করুন।
শিলা ইসলাম