স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করতেই এই আইন।
প্রবাদে রয়েছে ‘দিল্লিকা লাড্ডু: খাইলেও পস্তাবেন, না খাইলেও পস্তাবেন।’ কিন্তু তারপরও পুরুষরা সেই দিল্লিকা লাড্ডু নিয়ে থাকতেই ভালোবাসে। তাই তো নিজের জীবনের সঙ্গি করে নেন কোনো প্রেয়সীকে। ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয় নারী-পুরষ।
সারা জীবনের প্রেয়সী অর্থাৎ স্ত্রীকে সব সময় খুশি রাখতে হয়। তা না ঘলে ঘটে বিপত্তি। বিশেষ করে স্ত্রীর জন্মদিন মানেই স্পেশাল কিছু। আর সেটি যদি ভুলে যান, তাহলে তো কথাই নাই। পৃথিবীর এমনও দেশ রয়েছে যেখানে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলেও দেশটির আইন তা মেনে নেবে না। স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে পাঁচ বছরের জেল হয় স্বামীদের।
বিষয়টি শুনতে মজার মনে হলেও আদতে কিন্তু তা সত্যি। স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া এই দেশের আইনে বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়াতে এই আইন রয়েছে। সেই দেশে এই আইন যাতে পালন করা হয়, নারীরা যাতে এর সুবিধা নেয় তার জন্য প্রচারও করা হয়।
এদিকে, এই আইনের কিছু নির্দিষ্টি নিয়মও রয়েছে। কোনো নারী যদি পুলিশে অভিযোগ করে স্বামী তার জন্মদিন ভুলে গেছে, তাহলে পুলিশ গিয়ে আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখে। যদি স্ত্রী জন্মদিন ভুলে যাওয়ার ভুল ওই ব্যক্তি প্রথমবার করেন, তাহলে তাকে ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু দ্বিতীয়বার একই ভুল করলেই কারাবাস।
দেশটিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করতেই এই আইন করা হয়েছে। আর না মানলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে ভুলেও ভোলা যাবে না স্ত্রীর জন্মদিন।
এম হাসান
