
ছবি: প্রতীকী
বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ ও ভাড়াটিয়ার অধিকার রক্ষায় ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১’ যথেষ্ট কার্যকর হলেও সচেতনতার অভাবে বহু ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ হয় না। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া আঞ্জুম।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া বলেন, ‘বাড়ির বাৎসরিক ভাড়া সংশ্লিষ্ট বাড়ির বাজার মূল্যের ১৫ শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা যাবে না। এছাড়া, দুই বছর অন্তর ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা গেলেও তা হতে হবে যুক্তিযুক্ত ও মানসম্মত।’
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত ভাড়া প্রদানকারী এবং চুক্তির সব শর্ত মানা কোনো ভাড়াটিয়াকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা আইনসম্মত নয়। কেউ যদি চুক্তি শেষে বাড়ি খালি না করে কিংবা দখল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে তাকে মাসিক ভাড়ার ১০ গুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
আইনি দিক তুলে ধরে ব্যারিস্টার তাসমিয়া পরামর্শ দেন, ‘বাড়ি ভাড়া দেওয়ার পূর্বেই বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি লিখিত চুক্তি সম্পন্ন করা উচিত। চুক্তিপত্রে ভাড়ার সময়সীমা, মাসিক ভাড়ার পরিমাণ এবং উভয় পক্ষের শর্তাবলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা জরুরি। এতে ভবিষ্যতে যেকোনো বিরোধ সহজেই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।’
এছাড়াও, প্রতি মাসে বাড়িওয়ালাকে ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া রসিদ প্রদান করতেও বাধ্য থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালার সুসম্পর্ক রাখতে এবং আইনি জটিলতা এড়াতে সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার তাসমিয়া আঞ্জুম।
সূত্র: https://www.youtube.com/shorts/xcGX-6NMfFk
রাকিব