
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক বাণিজ্য চুক্তিতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান থাকা সত্ত্বেও বিশ্লেষণে স্পষ্ট—কৌশলগতভাবে এগিয়ে ছিল চীন। আলোচনার গতি, কাঠামো ও শর্ত চীন নির্ধারণ করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।
এই সাফল্যের পেছনে ছিল চীনের ছয়টি কৌশল:
১. দুর্লভ খনিজে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ
চীন ভারী রেয়ার আর্থ উপাদান রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি শিল্পে অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে এনে তারা সরবরাহ বন্ধের হুমকি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
২. মার্কিন অভ্যন্তরে চাপ সৃষ্টি
নতুন আইনের মাধ্যমে চীন পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি আইনগত ঝুঁতির পরিবেশ তৈরি করে, যা যুক্তরাষ্ট্রে কর্পোরেট মহলে আলোচনার চাপ তৈরি করে।
৩. গঠনগত ধৈর্য ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ
শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীন ধীর ও স্থির আলোচনা চালিয়েছে, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন ছিল হঠকারী ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াশীল।
৪. প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরতা
হুয়াওয়ের মতো কোম্পানি দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে উন্নত পণ্য তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি-নির্ভর চাপকে অকেজো প্রমাণ করে।
৫. সুনির্দিষ্ট প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ
চীন টার্গেট করে প্রতিশোধ নেয়, যেমন নির্দিষ্ট মার্কিন পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং ইউরোপকে নির্বাচিত ছাড়, যা পশ্চিমা ঐক্যে বিভাজন তৈরি করে।
৬. আমদানি নির্ভরতা হ্রাস
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নির্ভরতা কমিয়ে দেয়, ফলে মার্কিন শুল্ক চাপ অনেকটাই কার্যকারিতা হারায়।
আবির