
ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপজুড়ে অস্বাভাবিক গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ফ্রান্সে প্রায় ১,৯০০ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, ইতালির ১৭টি শহরে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, দুপুরের গরমে বাইরে কাজ নিষিদ্ধ। তুরস্কে দাবানলে লাখো মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্পেন জানিয়েছে, এটি তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গরম জুন-জুলাই মাস। দেশটির অনেক শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। একই পরিস্থিতি ইতালি ও লন্ডনসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইউরোপ এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত উষ্ণ হতে থাকা মহাদেশ। ভূমধ্যসাগরের তাপমাত্রাও রেকর্ড ৩০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। উচ্চচাপ বলয়ের কারণে 'হিট ডোম' তৈরি হয়ে তাপ আটকে যাচ্ছে।
তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতায় ইতালিতে একজন নির্মাণ শ্রমিক ও সিসিলিতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বার্সেলোনায় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যুর কারণ তদন্তাধীন।
রেডক্রস মালাগায় চালু করেছে ‘ক্লাইমেট রিফিউজ’। কৃষকেরা ফ্রান্সে রাতে কাজ করছেন, কারণ তাপপ্রবাহে ফসলের মাঠে আগুন লাগার আশঙ্কা বেড়েছে।
প্যারিস-মিলান রেললাইন বন্ধ হয়েছে কাদার স্রোতে। আইফেল টাওয়ারের উপরের তলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত গরমে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, এত আগে এমন গরম হওয়া অস্বাভাবিক, তবে এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাস্তবেই টের পাচ্ছে ইউরোপ।
আবির