
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তথাকথিত "সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান" কার্যত পরিণত হয়েছে ইতিহাসের এক ভয়াবহ গণহত্যার অধ্যায়ে। গত ২১ মাসে এই আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭,০০০ বেসামরিক ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে আসছে, তারা ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন করেছে। তবে এই দাবির বিপরীতে এক ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল ইয়েজহাক ব্রিক।
ইসরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক Maariv-এ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধে ব্রিক জানান, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা এখন প্রায় ৪০ হাজার সক্রিয় যোদ্ধা নিয়ে আবার সংগঠিত হয়েছে—যা ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আগের শক্তির সমতুল্য। তাদের কার্যক্রম এখনো চলছে ভূগর্ভস্থ সুরঙ্গ ও গেরিলা কৌশলের মাধ্যমে, যেমনটি যুদ্ধের শুরুর দিকে দেখা গিয়েছিল।
ব্রিকের মতে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী কখনোই প্রথাগত সেনাবাহিনী ছিল না; বরং এটি একটি ছায়া প্রতিরোধ বাহিনী—যা টিকে থাকে কৌশল, সুরঙ্গ ও জনসমর্থনের ওপর নির্ভর করে। তাই তাদের ‘ধ্বংসের’ দাবি অর্থহীন, কারণ তাদের ধ্বংস করার মতো কোনো কেন্দ্রীভূত কাঠামোই নেই।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনিরা এখন আগের চেয়েও বেশি সংগঠিত এবং সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ চালাচ্ছে। সুরঙ্গের জটিল নেটওয়ার্ক, হঠাৎ আক্রমণ এবং উন্নত পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা দখলদার বাহিনীকে বারবার বিভ্রান্ত করছে।
গাজার প্রতিটি শহীদের রক্তে নতুন করে জেগে উঠেছে এই প্রতিরোধ। ব্রিকের ভাষায়, “গাজায় শুধু অস্ত্র নয়, প্রতিরোধের অদম্য চেতনাও টিকে আছে।”
এই পুনরায় সংগঠিত ৪০ হাজার যোদ্ধা স্পষ্ট করে দিচ্ছে—এই সংগ্রাম কেবল অব্যাহত নয়, বরং সময়ের সাথে আরও অনিবার্য হয়ে উঠছে।
ফারুক