
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যায় মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে টার্গেট নির্ধারণ করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ— এমন বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির সাবেক উপপ্রধান রামে ইগ্রা।
সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মোসাদের টার্গেট কিলিং পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও রাজনৈতিক দায় নিয়ে মুখ খোলেন।
রামে ইগ্রা বলেন, “মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) কমান্ডারদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর অত্যাধুনিক গাইডিং সিস্টেমযুক্ত মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন এমনকি তাদের বেডরুমের অবস্থানও জানা সম্ভব।”
তিনি আরও জানান, এই হামলাগুলো নিখুঁতভাবে পরিচালনা করা হয় সাইবার গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে। "আপনি যদি একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চলাফেরা, অবস্থান ও জীবনযাত্রার তথ্য অনায়াসেই সংগ্রহ করা সম্ভব।"
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইরানি সেনা কর্মকর্তারা যেখানে ঘুমাচ্ছিলেন, সেসব নির্দিষ্ট ঘরেই মিসাইলের আঘাত হানা হয়েছে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান ইগ্রা।
সাক্ষাৎকারে তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়, তবে এর দায়ভার বর্তাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর। কারণ তাঁরাই ইরানকে পরমাণু চুক্তি থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
রামে ইগ্রা বলেন, “ইরান এখন যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, তা তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্রে পৌঁছে দিতে যথেষ্ট। আলোচনার টেবিলই একমাত্র পথ, সামরিক পন্থা দিয়ে ইরানকে ঠেকানো যাবে না।”
তবে, ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যু দেশটির সার্বিক প্রতিরক্ষা শক্তিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেন মোসাদের সাবেক উপপ্রধান।
ইমরান