
১৬৫টিরও বেশি আন্তর্জাতিক দাতব্য ও বেসরকারি সংগঠন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF)-এর অবিলম্বে অবসান চেয়েছে। এই বিতর্কিত ও গোপনীয় প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় চালু করা হয়েছে, যাতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে পাশ কাটিয়ে সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
এক যৌথ বিবৃতিতে এসব সংস্থা জানায়,
“গাজার ফিলিস্তিনিরা এখন এক অসম্ভব পরিস্থিতির মুখে— হয় ক্ষুধায় মারা যেতে হবে, না হয় খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে গুলিতে মরতে হবে। ইসরায়েলের এই বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পরের কয়েক সপ্তাহ ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবচেয়ে রক্তাক্ত ও সহিংস সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।”
তারা আরও জানায়, GHF প্রকৃতপক্ষে “গাজাবাসীর জন্য শুধু ক্ষুধা ও গুলির বার্তা বয়ে এনেছে।”
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার বলেছে, তারা গাজায় টেকসই ত্রাণ সরবরাহে সক্ষম — যদি ইসরায়েল তার অবরোধ তুলে নেয়। এই অবরোধই দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
GHF কার্যক্রম মার্চের শেষদিকে শুরু হওয়ার পর থেকে এর আশপাশে বা ভেতরে প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
GHF এক বিবৃতিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছে,
“প্রতিষ্ঠিত ত্রাণ সংস্থাগুলোকে তীর্যক মন্তব্য আর কোণাঘুষো বন্ধ করে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে হবে।”
এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন জনি মুর জুনিয়র নামে একজন ইভানজেলিকাল নেতা, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
Jahan