ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

সৌদি আরবে মুদি দোকানের ‘গোপন যুদ্ধ’—কি ঘটছে আসলে?

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২৮ জুন ২০২৫

সৌদি আরবে মুদি দোকানের ‘গোপন যুদ্ধ’—কি ঘটছে আসলে?

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের ছোট মুদি দোকানসমূহ, যেগুলো সাধারণত ‘বাকালাস’ নামে পরিচিত, সেখানে তামাক, খেজুর, মাংস, ফল ও সবজি বিক্রি করা এখন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের পৌর ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রি মাজেদ আল-হোগাইল কর্তৃক জারি হওয়া এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো দেশের খুচরা বাজারের গঠন পুনর্বিন্যাস এবং জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা মান উন্নত করা। নতুন নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর হলেও, বিদ্যমান দোকানগুলোকে ছয় মাসের মেয়াদ দেয়া হয়েছে নতুন বিধিমালা মেনে চলার জন্য।

নতুন বিধিমালার শর্তাবলী

পরিমার্জিত নিয়ম অনুযায়ী, মুদি দোকান, কিওস্ক এবং মিনি মার্কেটগুলিতে নিম্নলিখিত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ:

  • তামাকজাত পণ্য (সিগারেট, ইলেকট্রনিক সিগারেট, শিশা সহ)

  • খেজুর

  • মাংস

  • ফল ও সবজি

এসব পণ্য শুধুমাত্র নিম্নলিখিত স্থানে বিক্রি করা যাবে:

  • সুপারমার্কেটে, যেখানে মাংস বিক্রির জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে

  • হাইপারমার্কেটে, যেখানে অতিরিক্ত লাইসেন্স ছাড়াই উপরোক্ত সব পণ্য বিক্রি করা যাবে

মুদি দোকান, সুপারমার্কেট এবং হাইপারমার্কেটে চার্জার কেবল ও প্রিপেইড রিচার্জ কার্ড বিক্রি করা যাবে।

অবস্থান সংক্রান্ত নতুন নিয়ম

নতুন নিয়মে খুচরা দোকানের জন্য ন্যূনতম স্থান সম্পর্কিত নির্দেশনাও পরিবর্তন করা হয়েছে:

  • মুদি দোকানের ন্যূনতম মেঝে এলাকা ২৪ বর্গমিটার হতে হবে

  • সুপারমার্কেটের ন্যূনতম স্থান হবে ১০০ বর্গমিটার

  • হাইপারমার্কেটের ন্যূনতম স্থান হবে ৫০০ বর্গমিটার

খুচরা বিক্রেতাদের জন্য প্রভাব

এই সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের হাজার হাজার ছোট মুদি দোকানের ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে তাজা সবজি, তামাক ও খেজুর বিক্রিতে নির্ভরশীল ছিল।

বিক্রেতাদের তাদের পণ্যের তালিকা পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং যদি তারা সীমাবদ্ধ পণ্য বিক্রি চালিয়ে যেতে চায়, তবে দোকানের স্থান সম্প্রসারণ করে শ্রেণিবিন্যাস উন্নীত করতে হবে।

ভোক্তাদের জন্য এই পরিবর্তন অর্থ হতে পারে স্থানীয় ছোট দোকান থেকে দ্রুত কেনাকাটার সুযোগ কমে যাওয়া। তবে, বড় এবং নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাগুলোতে পণ্যের সঠিক হ্যান্ডলিং ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।

পৌর ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ছয় মাসের স্থানান্তর সময়কালে আইন প্রয়োগকারী দল নিয়ম অনুসরণের ওপর নজর রাখবে। এরপর অমান্যকারীরা জরিমানা ও দোকান বন্ধের মতো শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।

আবির

×