
গাজার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরাইল
ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে হওয়া আকাশ যুদ্ধের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সরে যাওয়ায় গাজাবাসীর দুর্দশার কথা সবাই ভুলতে বসেছে বলে অনেক ফিলিস্তিনির অভিযোগের মধ্যেই ভূখ-টিতে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি, হামলায় ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৪৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এর মধ্যে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ও বিমান হামলায়, বলেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরার।
ভূখ-টিতে ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইল তাদের নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়ার পর গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই তেল আবিবের সেনাদের হামলায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। চিকিৎসা কর্মীরা বলছেন- মাঘাজি শরণার্থী শিবির, জেইতুন এলাকা ও গাজা শহরে বিভিন্ন বাড়ি লক্ষ্য করে পৃথক ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এর বাইরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি শিবিরে বিমান হামলায় আরও ৫ জন নিহত হয়েছে।
এর বাইরে গাজার মধ্যাঞ্চলের সালাউদ্দিন সড়কের পাশে জাতিসংঘের ত্রাণের ট্রাকের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ভিড় লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা কর্মীরা। সালাউদ্দিন সড়কের ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, এলাকাটি যে একটি সক্রিয় যুদ্ধাঞ্চল সে ব্যাপারে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু লোকজন নুসেইরাত এলাকায় কাজ করা সেনাদের দিকে এমনভাবে অগ্রসর হয়, যা বাহিনীর জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। এরপর সেনারা সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছি, তবে তারা হতাহতের বিষয়ে অবগত নয়, বলেছে আইডিএফ।
অন্যান্য বিমান হামলার ব্যাপারে তাদের ভাষ্য, ইসরাইলি সেনারা হামাসের সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে অভিযান চালানোর সময় বেসামরিকদের ক্ষতি যেন কম হয় তার জন্য সম্ভাব্য সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, মে মাসের শেষ দিকে পুনরায় ত্রাণ সরবরাহ শুরুর পর খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে ৩৯৭ জন নিহত ও তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।