ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে অল্প বয়সেই লিভারের সমস্যা—বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস, কিংবা সিরোসিসের মতো জটিলতা ভয়াবহ হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন ও নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার এর মূল কারণ। অথচ মাত্র চারটি অভ্যাস রপ্ত করলেই এ বিপদ অনেকাংশে ঠেকানো সম্ভব।
চলুন জেনে নিই লিভার সুস্থ রাখতে করণীয় চারটি জরুরি অভ্যাস—
১. ফাস্টফুড ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত তেল-মশলা, কোমল পানীয় ইত্যাদি লিভারে চর্বি জমিয়ে “ফ্যাটি লিভার” তৈরি করে, যা পরবর্তীতে সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই খাবারে ফাইবার ও প্রাকৃতিক উপাদান বেশি রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বিশেষ পরামর্শ: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফল ও কম তেলযুক্ত রান্না রাখুন।
২. অ্যালকোহল এবং সিগারেট থেকে দূরে থাকুন
অ্যালকোহল লিভার এনজাইমকে ধ্বংস করে এবং দীর্ঘদিন সেবনে লিভারের কার্যক্ষমতা একেবারে কমে যেতে পারে। ধূমপানও লিভারের কোষে বিষাক্ত পদার্থ জমিয়ে ফেলে। অল্প বয়সে এ দুটি অভ্যাসই ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৩. অপ্রয়োজনে ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন
নিজের ইচ্ছেমতো পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক, হারবাল বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন লিভার এনজাইমের ভারসাম্য নষ্ট করে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করলে লিভারের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে: অ্যাসিটামিনোফেন বা প্যারাসিটামল বেশি খেলে লিভার ফেইলর পর্যন্ত হতে পারে।
৪. নিয়মিত হেলথ চেকআপ করুন ও হেপাটাইটিসের টিকা নিন
লিভার সমস্যার অনেক সময়ই উপসর্গ থাকে না। তাই বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা ও লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT) করানো উচিত। হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস থেকেও লিভার ড্যামেজ হতে পারে। হেপাটাইটিস বি-এর টিকা অবশ্যই নিয়ে রাখা দরকার। লিভার সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তারি ওষুধের চেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। মাত্র চারটি অভ্যাস শুরু করলেই জীবন হতে পারে নিরাপদ, লিভার হতে পারে শক্তিশালী।
ফারুক
