ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে অল্প বয়সেই শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস কিংবা ফুসফুসে ক্যানসারের মতো জটিল সমস্যায় ভুগছেন অনেক তরুণ-তরুণী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণ, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ও অলসতা এর প্রধান কারণ। তবে সময়মতো সচেতন হলে এসব সমস্যা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
নিচে দেওয়া হলো ফুসফুসকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে জরুরি চারটি অভ্যাস—
১. ধূমপান ও ভেপিং থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন
সিগারেট, ই-সিগারেট কিংবা ভেপ—সব ধরনের ধোঁয়া ফুসফুসের কুঁচকে যাওয়া ও ফুসফুসের কোষ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ধূমপান ও ভেপের প্রবণতা বাড়ছে, যা অল্প বয়সেই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। বিশেষ সতর্কতা: একবার ধূমপানের অভ্যাস তৈরি হলে ফুসফুসের ক্ষতি কখনোই পুরোপুরি ফিরে আসে না।
২. প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও হাঁটার অভ্যাস করুন
গভীর শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম, যোগব্যায়াম কিংবা হাঁটাহাঁটি ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায় ও বাতাসের গ্রহণ-বর্জনের প্রক্রিয়াকে মজবুত করে। এতে করে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে এবং দূষিত বাতাসের ক্ষতি প্রতিরোধ হয়। সহজ ব্যায়াম: প্রাতঃভ্রমণ, অনবরত ৫ মিনিট “গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস” অনুশীলন।
৩. দূষণ ও ধুলাবালি থেকে নিজেকে রক্ষা করুন
বাইরের ধোঁয়া, গ্যাস, ধুলাবালি ফুসফুসে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)-এর কারণ হতে পারে। বিশেষ করে শহুরে পরিবেশে থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন ও ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারে মনোযোগ দিন। বিশেষ পরামর্শ: নির্মাণাধীন জায়গায় দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করবেন না।
৪. ফাস্টফুড ও ট্রান্সফ্যাট বাদ দিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খান
পুষ্টিহীন, প্রক্রিয়াজাত খাবার ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি করে। এর বদলে ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, ভিটামিন সি ও ই-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ফুসফুসকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করাও অত্যন্ত জরুরি। উপকারী খাবার: আপেল, পালং শাক, গ্রিন টি, ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ।
ফুসফুস সুস্থ থাকলেই জীবন প্রাণবন্ত থাকবে। এখনই এই চারটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন—নিজেকে আরেকটি শ্বাসের জন্য প্রস্তুত রাখুন।
ফারুক
