
ছবি: সংগৃহীত
"এ কালিজিরায় আছে সব রোগের উপশম, শুধু মৃত্যু ছাড়া” — মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর এ হাদিস আজও চিকিৎসাবিজ্ঞানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কালিজিরা (Nigella Sativa) শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের বস্তু নয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণাও প্রমাণ করেছে এর বহুমুখী ওষধি গুণ।
বিশ্বনবীর (সা.) চিকিৎসা-উপদেশগুলোর মধ্যে কালিজিরার গুরুত্ব প্রথম সারিতে। মুসলিমরা একে ‘হাব্বাতুস সাওদা’ বা পবিত্র কালো দানা হিসেবে জানে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি শুধুই খাবার নয়, বরং জীবনের সুরক্ষা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, কালিজিরার বীজে থাকে থাইমোকুইনন (Thymoquinone), যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রভাব রাখে।
এটি— 1.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
2. হজমে সহায়তা
3. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
4.ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যে উন্নতি আনে
এমনকি ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি জোরদার করে
হাদিসে এসেছে, "তোমরা কালিজিরা ব্যবহার করো। এতে আছে সব রোগের উপশম, শুধু মৃত্যু ছাড়া।”
( সহিহ বোখারি, হাদিস ৫৬৮৮)
বিশ্বনবি (সা.) নিজেও নিয়মিত এটি ব্যবহার করতেন। সাহাবিরাও নিজেদের ও পরিবারে এ উপাদান ব্যবহার করতেন সুস্থতা ও বরকতের আশায়।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কালিজিরা তেল বা গুঁড়া খান, তাদের রক্তে সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা তুলনামূলক কম। এমনকি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিও এটি কমিয়ে দিতে পারে।
কালিজিরা খুবই শক্তিশালী। মাত্রার অতিরিক্ত সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক, মাথা ঘোরা বা লিভারে সমস্যা হতে পারে। তাই অভিজ্ঞ হাকিম, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার না করাই ভালো।
কালিজিরা কেবল একটি দানা নয় — এটি বিশ্বাস, বিজ্ঞান আর বরকতের এক অপূর্ব সমন্বয়। ইসলামের আলোকে এটি সুন্নাহ, আর বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এক অভূতপূর্ব হেলথ টনিক।
আজ যখন মানুষ নানা রোগে ক্লান্ত, তখন প্রাকৃতিক এই উপাদান হতে পারে নতুন আশার আলো।
Mily