ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে অল্প বয়সেই কিডনি ফেইলর বা কিডনি অকেজো হওয়ার ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি না পান করাসহ নানা কারণে তরুণ-তরুণীদের মাঝেও এই জটিলতা দেখা দিচ্ছে। অথচ মাত্র চারটি অভ্যাস গড়ে তুললেই কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চলুন জেনে নিই সেই চারটি কার্যকর অভ্যাস—
১. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন
কিডনিকে সুস্থ রাখতে দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। পানি শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে এবং কিডনির ওপর চাপ কমায়।
বিশেষ পরামর্শ: প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলে বুঝবেন শরীরে পানির ঘাটতি আছে।
২. লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান
অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে, যা কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চিপস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ফাস্টফুড, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ইত্যাদি খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে, যা কিডনি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৩. অপ্রয়োজনে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলুন
অনেকে ছোটখাটো ব্যথায় নিয়মিত পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। অথচ এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
৪. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনি সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ বোঝা যায় না। তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর রুটিন হেলথ চেকআপ, বিশেষ করে ইউরিন ও ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষণ সতর্কতা: পা ও মুখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা ফেনিল প্রস্রাব, ক্লান্তিভাব — এসব লক্ষণকে অবহেলা করা যাবে না। জীবন যাপনের ছোট পরিবর্তনেই সম্ভব ভয়ংকর কিডনি জটিলতা প্রতিরোধ। আজ থেকেই নিজের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।
ফারুক
