
সংগৃহীত
Gen Z-র মধ্যে ২০০০ দশকের মাঝামাঝি সময়ের 'রেট্রো রকচিক' ফ্যাশন ও সংস্কৃতির প্রতি প্রবল আকর্ষণ দেখা যাচ্ছে। এলোমেলো, বোহেমিয়ান ধাঁচের পোশাক, কম আলোয় তোলা ঝাপসা ছবি, আর নিজ হাতে তৈরি ফ্যাশনের মিলনে এই স্টাইল আবার ফিরেছে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে। TikTok ও Instagram-এর মতো প্ল্যাটফর্মে এই ট্রেন্ডের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, Gen Z এই স্টাইলের মধ্যে পুরনো দিনের সৌন্দর্য খুঁজে পায় না শুধু, বরং নিখুঁততার ওপর সমাজের চাপ থেকে বেরিয়ে আসর একটি উপায় হিসেবেও দেখে। এই ট্রেন্ড যেন এক ধরনের আত্মপ্রকাশ, যেখানে এলোমেলোতাও হয়ে উঠছে স্টাইল স্টেটমেন্ট।
কেন জনপ্রিয় হচ্ছে রেট্রো রকচিক?
১. সাজানো জীবনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় নিখুঁত জীবনের যে অবিশ্বাস্য প্রতিচ্ছবি দেখা যায়, তার বিপরীতে এই স্টাইল বাস্তবতাকে সামনে আনে। এখানে এলোমেলো পোশাক, অগোছালো চুল আর স্পষ্টভাবে প্রক্রিয়াবিহীন ছবি যেন এক ধরনের সততা বহন করে।
২. সস্তা, সহজ ও মজা
- মহামারির পর Gen Z বেশি ঝুঁকেছে সহজ ও কম খরচের বিনোদনের দিকে। পার্টি, আড্ডা আর ঘরোয়া আয়োজনেই তারা খুঁজে নিচ্ছে নিজস্ব রসদ। এই স্টাইল সেই মেজাজেই প্রতিচ্ছবি।
৩. পরিবেশ সচেতনতা ও স্বকীয়তা
- ভিন্টেজ ও থ্রিফ্ট শপ থেকে কেনা জামা-কাপড় বা নিজে তৈরি করা অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার করে তারা ফ্যাশনের মধ্য দিয়ে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে।
আধুনিক রূপে পুরনো স্টাইল
আগের American Apparel কিংবা বিশাল হেডব্যান্ডের দিন ফুরালেও আজকের রেট্রো রকচিক ট্রেন্ডে আছে থ্রিফ্টেড লেদার জ্যাকেট, পুরনো গ্রাফিক টি-শার্ট, ফিটনেস স্টকিংস এবং ফ্লেয়ারড জিন্স। এখন এই ট্রেন্ড আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক,যেখানে বডি-পজিটিভিটি ও লিঙ্গ পরিচয়কে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিশাল ভূমিকা
Gen Z এই স্টাইলকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করছে। কেউ পোস্ট করছে পুরনো দিনের ফিল্ম ক্যামেরায় তোলা ছবি, কেউ আবার বানাচ্ছে ফ্যাশন রিমিক্স ভিডিও। এটা এক ধরনের ‘সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ’—যেখানে পুরনো ধারা নতুন চোখে দেখা হচ্ছে।
ফ্যাশনের বাইরেও বার্তা
‘রেট্রো রকচিক’ এখন আর শুধু ফ্যাশনের নাম নয়-এটা হয়ে উঠেছে এক ধরনের মনোভাব। যেখানে Gen Z বলছে, “আমরা নিখুঁত হতে চাই না, আমরা সত্যিকারের মানুষ হতে চাই,যাদের ভাবনায় স্বাধীনতা, রুচিতে নিজস্বতা।”
এই ট্রেন্ড কতদিন থাকবে তা সময়ই বলবে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়,নতুন প্রজন্ম তাদের নিজস্ব ভাষা, ভাবনা ও ফ্যাশনের মাধ্যমে আগামী দিনের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করছে।
হ্যাপী