ছবি: সংগৃহীত
ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171। গুজরাতের আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের মর্মান্তিক বিমানে যাত্রী এবং ক্রু-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে , একজন জীবিত আছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া খবর প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু কেন হল এই মারাত্মক দুর্ঘটনা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন পাখিও হতে পারে কারণ!
টেকঅফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্র্যাশ করে লন্ডনগামী বিমানটি। টেকঅফের জন্য প্রয়োজনীয় গতি অর্জন করতে না পারার কারণে এটি পাখির আঘাতের শিকার হতে পারে বলেও অনুমান বিমান বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু পাখির জন্য কীভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে গোটা বিমান?
একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিমান বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, বিমানটির টেকঅফ মসৃণ মনে হচ্ছিল। কিন্তু একাধিক পাখির আঘাত Boeing 787-8 Dreamliner এর উভয় ইঞ্জিনের শক্তি হারাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কাছাকাছি রয়েছে আবাসিক এলাকা। ফলত পাখির আঘতের সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
পাখির ধাক্কায় বিমান দুর্ঘটনার নজির আগেও রয়েছে। এটি সাধারণত টেকঅফ, ল্যান্ডিংয়ের সময় প্লেন যখন নিম্ন-উচ্চতায় থাকে তখন ঘটে। এইসময়েই পাখির সঙ্গে প্লেনের ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। পাখির আঘাত বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে যদি পাখিগুলি বিমানের ইঞ্জিনে প্রবেশ করে বা উইন্ডশিল্ড বা উইংসের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলিকে আঘাত করে।
যদি একটি পাখি একটি জেট ইঞ্জিনে প্রবেশ করে, এটি ফ্যান ব্লেডগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, ইঞ্জিন ব্যর্থতা ঘটাতে পারে বা বিরল ক্ষেত্রে, একটি দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। পাখির আঘাত ইঞ্জিন, উইংস, নোজ কন, উইন্ডশিল্ড বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
যদি একটি পাখি বা একাধিক পাখি ইঞ্জিনে প্রবেশ করে, এটি ফ্যান ব্লেডগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত বা বাঁকিয়ে দিতে পারে, কম্পন এবং থ্রাস্টের ক্ষতি ঘটাতে পারে এবং ইঞ্জিন খারাপ করে দিতে পারে, ইঞ্জিনে আগুনও লেগে যেতে পারে।
উইন্ডশিল্ডের ক্ষেত্রে, একটি দ্রুত গতি সম্পন্ন পাখি আঘাতের ফলে উইন্ডশিল্ডকে ফাটাতে বা ভেঙে দিতে পারে। যখন একটি পাখির আঘাত ঘটে, পাইলটরা একটি মেইডে বা প্যান-প্যান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে, জরুরি অবতরণের জন্য বিমানবন্দরে ফিরে যেতে পারে, প্রভাবিত ইঞ্জিনটি বন্ধ করতে পারে এবং জরুরি চেকলিস্টগুলি অনুসরণ করতে পারে বা অটোপাইলট বা ব্যাকআপ পাওয়ার মতো সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে।
পাইলট একটি মেইডে কল করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে, কিন্তু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC) যখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল, তখন ফ্লাইট থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও এখনও পর্যন্ত প্লেন দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। এই প্রতিবেদন বিশেষজ্ঞদের অনুমানের ভিত্তিতেই লেখা হয়েছে।
শহীদ
