ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইরানের বিরুদ্ধে বড় আকারের সামরিক অভিযানের শুরুতে এটা ছিল প্রথম পর্যায়

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১৩ জুন ২০২৫

ইরানের বিরুদ্ধে বড় আকারের সামরিক অভিযানের শুরুতে এটা ছিল প্রথম পর্যায়

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, এটি ছিল একটি বৃহৎ সামরিক অভিযানের প্রাথমিক ধাপ।

নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা একটি প্রাথমিক আঘাত হেনেছি, যা অত্যন্ত সফল হয়েছে। ঈশ্বরের কৃপায় আমরা আরও অনেক কিছু অর্জন করব।” তিনি স্পষ্ট জানান, এই অভিযান এখানেই শেষ নয়—ইরানের বিরুদ্ধে আরও বড় পরিসরে হামলা আসতে চলেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে এই সামরিক অভিযান “অনেকদিন ধরে চলতে পারে”।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই অপরাধমূলক হামলার মাধ্যমে জায়নবাদী শাসকেরা নিজেদের জন্য এক বেদনাদায়ক পরিণতি নিশ্চিত করেছে। তারা শাস্তি পাবেই।”

তিনি আরও বলেন, “এই হামলার মাধ্যমে তারা যা করেছে, তার ভয়াবহ পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।”

শুক্রবার সকালে ইসরায়েল বড় পরিসরে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ থেকে ফেরাতেই এই অভিযান। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা, পরমাণু বিজ্ঞানীরা এবং একাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তেহরানসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভিডিওবার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। রাইজিং লায়ন নামের এই অভিযানে লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং নাতাঞ্জ পরিশোধনাগার।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও।

 

 

শিহাব

×