ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে ইরানের ওপর ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, "আমি ইরানকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। আজ ৬১তম দিন। যারা দম্ভোক্তি করতো, তারা সবাই এখন মৃত।"
ট্রাম্প বলেন, দুই মাস আগে তিনি ইরানকে একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং সময়সীমা দিয়েছিলেন। তবে ইরান সেই সুযোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার ভাষায়, "তারা জানতো না কী আসছে। এখন তারা হয়তো দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ পাবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমি তাদের শক্ত ভাষায় সতর্ক করেছিলাম। এখন পর্যন্ত অনেক মৃত্যু ও ধ্বংস হয়েছে। তবে এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে এখনও সময় আছে। ইরানকে এখনই চুক্তিতে আসতে হবে, নয়তো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।"
শুক্রবার সকালে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। এতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, এই অভিযানে ইরানের ছয়জন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তার মতে, “এই অভিযান যতদিন প্রয়োজন চলবে। ইরানের অস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংস করাই আমাদের লক্ষ্য।”
ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান জবাব দেয়। তারা তেলআবিব ও জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
একজন শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা জানান, “এই হামলার জবাব সবাই পাবে।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইসরায়েলকে সাহায্য করা যে কোনো দেশকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।
ট্রাম্প যদিও ইসরায়েলের এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন, তবুও তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় সরাসরি অংশ নেয়নি।
ABC নিউজকে তিনি বলেন, “আমরা তাদের (ইরানকে) সুযোগ দিয়েছিলাম। তারা তা নেয়নি। এখন তারা প্রচণ্ডভাবে আঘাত পেয়েছে। এবং সামনে আরও অনেক কিছু আসবে।”
তবে এই ঘটনার আগের দিনই ট্রাম্প শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ফলে তার পরবর্তীকালের বক্তব্য এবং আচরণ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা প্রশ্ন তুলেছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এম.কে.
