
সংগৃহীত
গ্রীষ্ম মানেই খরতাপের ঝলসানো হাওয়া, তপ্ত বাতাসে হাঁসফাঁস জনজীবন। সূর্যের কিরণে যেন আগুন ঝরে পড়ছে প্রতিটি প্রহরে। এরকম দাবদাহে ক্লান্ত শরীর-মন খুঁজে ফেরে একটুখানি প্রশান্তি। সেই প্রশান্তির সবচেয়ে সহজ, প্রাকৃতিক ও সুস্বাদু উপায় ফলমূল।
এই গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, ক্লান্তি দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিচের ফলগুলো হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রতিদিনের সঙ্গী।
ডাবের পানি: প্রকৃতির কোমল উপহার
- প্রচণ্ড গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা ডাবের পানি যেন এক চুমুকেই ফেরায় প্রাণ। প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটে ভরপুর এই পানীয় শরীরকে ঠান্ডা করে, শক্তি জোগায় ও পানিশূন্যতা রোধে অনন্য।
তরমুজ: জলের দানব এক ফল
- প্রায় ৯২ শতাংশ পানিযুক্ত তরমুজ একাধারে সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর এবং দৃষ্টিনন্দন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপেন শরীরকে করে সতেজ, ত্বক ও চুলে আনে প্রাকৃতিক দীপ্তি।
বাঙ্গি: তৃষ্ণার শেষ ঠিকানা
- বাঙ্গির মিষ্টি রস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে আর প্রতিটি কামড়েই মেলে ঠান্ডা বাতাসের মতো স্বস্তি।
আম: গ্রীষ্মের রাজাধিরাজ
- পাকা আম মানেই গ্রীষ্মের উৎসব। ভিটামিন সিও কে সমৃদ্ধ আম শুধু স্বাদের নয়, স্বাস্থ্য রক্ষারও সেরা বন্ধু। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ত্বক সতেজ রাখতে আমের তুলনা নেই।
কলা: সহজলভ্য শক্তির উৎস
- গরমে ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত হলে একটুখানি কলা আপনাকে ফিরিয়ে দেবে শক্তি ও প্রশান্তি। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে।
কমলা: রসে ভরা রসালো বন্ধু
- ৮৭ শতাংশ পানিযুক্ত এই ফল গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখে ও শক্তি জোগায়। কমলার ফাইটোকেমিক্যাল হৃদ্রোগ, ক্যান্সার ও উচ্চ কোলেস্টেরল রোধে সহায়ক।
টমেটো: লালাভ সতেজতা
- টমেটোতে থাকা লাইকোপেন গরমের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এটি মানসিক চাপ কমায়, চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং শরীরকে ভিতর থেকে সতেজ রাখে।
শসা: প্রকৃতির ঠান্ডা স্পর্শ
- শসা হলো ডেটক্স পানীয়ের এক নম্বর উপাদান। এতে ৯৬ শতাংশই পানি। গরমে সালাদ, স্মুদি বা সরাসরি শসা খাওয়া শরীরকে রাখে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড।
জাম ও লিচু: মৌসুমি স্বাদের উৎসব
- এই দুই মৌসুমি ফল শুধু মুখরোচক নয়, শরীরের জন্যও অতি উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনে ভরপুর জাম ও লিচু গ্রীষ্মের কষ্টকে রূপ দেয় এক উৎসবে।
গরমের এই সময়টা শুধু ধৈর্যের নয়, নিজের যত্ন নেওয়ারও। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি এসব ফল থাকে, তাহলে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড, মন থাকবে প্রফুল্ল আর ত্বক থাকবে দীপ্তিময়। তাই আসুন, গরমকে জয়ের মন্ত্র হয়ে উঠুক একটা রসালো ফল।
হ্যাপী