
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের ওপর টানা তৃতীয়বারের মতো আঘাত হেনেছে ইরান। শনিবার ভোরে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। ইরান এই হামলার নাম দিয়েছে “Honest Promise 3”। এটি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে চালানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে ইরান ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের দিকে। সেই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শুরু হয় নতুন ধাক্কা। তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেয়া হচ্ছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “তারা (ইসরায়েল) যে মারাত্মক অন্যায় করেছে, তার ফল ভোগ করতেই হবে। তারা আগ্রাসন শুরু করেছে, আমরা থেমে থাকব না।”
এই উত্তেজনার সূচনা ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে, যখন ইসরায়েল “Operation Rising Lion” নামের এক বড়সড় সামরিক অভিযানে ইরানের ওপর ব্যাপক হামলা চালায়। যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েল ইরানের ভেতরে ঢুকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়।
হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও কমান্ড সেন্টার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এতে ইরানের একাধিক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহত হন।
এর জবাবে ইরান শুক্রবার রাতে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরের দিকে প্রচুর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এ সময় পুরো শহরে সাইরেন বেজে ওঠে, মানুষ আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
শনিবার ভোরে আবারও নতুন দফার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু হলে জেরুজালেম ও তেলআবিব কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেক ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝপথেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে, তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে এই সংঘাতের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এম.কে.