
ছবি: সংগৃহীত।
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলাকে সরাসরি সমর্থন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছেন, তিনি এই হামলার বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন এবং ইরানকে আলোচনার মাধ্যমে বিরত করার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমাও দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প বলেন, “৬০ দিন পেরিয়ে গেছে। আজ ৬১তম দিন। ইসরায়েল তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি এই হামলা থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ইরান আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি, বরং আগের অবস্থানে অনড় ছিল। সেজন্য তাদের এই পরিণতি।”
শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে ইরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ইসরায়েল বড় ধরনের আকাশ হামলা চালায়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি, আরও তিনজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এবং ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
হামলার পরপরই ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করা সম্ভব হলেও কিছু ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
এই সংঘর্ষের মাঝেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকা এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। আমরা ইসরায়েলের পাশে আছি। ইরানকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। চুক্তি না করলে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসবে।”
নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প আরও লেখেন, “আমেরিকার সর্বোচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র এখন ইসরায়েলের হাতে। তারা জানে এসব কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। যারা বড় বড় কথা বলছিল, তারা আর বেঁচে নেই। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
তবে ট্রাম্প জানান, ইরানের জন্য এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। “তোমরা চাইলে এখনো চুক্তিতে আসতে পারো, কিন্তু বেশি দেরি কোরো না”—এই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বলেন।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” এর পরপরই ইরান তেলআবিব লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ফলে পশ্চিম এশিয়ার ভূরাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
নুসরাত