ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রেমঘটিত বিরোধে তরুণকে খুন, প্রেমিকাসহ একই পরিবারের ছয়জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১২ জুন ২০২৫

প্রেমঘটিত বিরোধে তরুণকে খুন, প্রেমিকাসহ একই পরিবারের ছয়জন গ্রেপ্তার

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় প্রেমঘটিত বিরোধে শরিফুল ইসলাম (২৪) নামে এক তরুণকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার মরদেহ একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে আইসক্রিমের ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক দিবাকর সাহাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শরিফুল আগরতলার কবরখোলা এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি ‘আগরতলা স্মার্ট সিটি’ প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। গত ৮ জুন রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। চারদিন পর ধলাই জেলার গন্ডাছড়ার একটি দোকানের আইসক্রিম ফ্রিজ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসক দিবাকর সাহা (২৯) ও শরিফুল একই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। এই প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বই হত্যার মূল প্ররোচনা বলে পুলিশের ধারণা। দিবাকর সাহা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শরিফুলকে হত্যার জন্য ৮ জুন রাতে উপহারের লোভ দেখিয়ে দক্ষিণ ইন্দ্রনগরের জয়দীপ দাসের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত ছিল তার প্রেমিকা নবনীতা দাস, জয়দীপ দাস (২০) ও অনিমেষ যাদব (২১)। সেখানেই শরিফুলকে গলা টিপে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

হত্যাকাণ্ডের দুদিন আগেই দিবাকর বাজার থেকে একটি বড় ট্রলি ব্যাগ কিনে এনেছিলেন। খুনের পর মরদেহ ওই ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন, ৯ জুন দিবাকরের বাবা দীপক সাহা (৫২) ও মা দেবিকা সাহা গণ্ডাছড়া থেকে গাড়ি নিয়ে এসে জয়দীপ দাসের বাড়ি থেকে ট্রলি ব্যাগে থাকা মরদেহ তুলে নেন এবং সেটি গণ্ডাছড়ায় তাদের পানের দোকানের আইসক্রিম ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ছয় অভিযুক্তকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। 

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক দিবাকর সাহা, তার প্রেমিকা নবনীতা দাস, জয়দীপ দাস, অনিমেষ যাদব, এবং দিবাকরের বাবা-মা। মামলার তদন্ত এখনও চলছে বলে জানান তিনি।

সানজানা

×