
চীনের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ও বাণিজ্য যুদ্ধে আধিপত্য মোকাবিলায় কানাডার অন্টারিও প্রদেশের কিংস্টনে রেয়ার আর্থ উপাদান পুনর্ব্যবহার (রিসাইক্লিং) প্ল্যান্ট গড়ছে অ্যামাজন ও মাইক্রোসফট সমর্থিত একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালস’।
এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার । ২০২৬ সালের প্রথম শুরুতে প্ল্যান্টটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গবেষণা কেন্দ্রও।
‘রেয়ার আর্থ’ খনিজ পদার্থ—যেমন নিওডিমিয়াম ও ডিসপ্রসিয়াম—ব্যবহৃত হয় বৈদ্যুতিক গাড়ি, স্মার্টফোন, সামরিক প্রযুক্তি, উইন্ড টারবাইনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তৈরিতে। বর্তমানে বিশ্বে এসব উপাদানের ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রক্রিয়াজাত করছে চীন।
চীন অতীতে কয়েক দফা রেয়ার আর্থ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধতা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে, এই উপাদানের বিশ্ববাজার চরমভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
এ অবস্থায় কানাডায় এই রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট নির্মাণ উত্তর আমেরিকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করবে। এতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও প্রতিরক্ষা শিল্পে কাঁচামাল সরবরাহ নিরাপদ হবে।
সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালস জানায়, তারা ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পণ্য, হার্ডডিস্ক ও পুরনো উইন্ড টারবাইন ব্লেড থেকে রেয়ার আর্থ উপাদান সংগ্রহ করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করবে। এতে খনিজ আহরণের পরিবর্তে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
বিশ্ব যখন টেকসই প্রযুক্তি ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের দিকে এগোচ্ছে, তখন এই রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট বিশ্ববাজারে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। রেয়ার আর্থের জন্য চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য বিকল্প উৎস গড়ে তুলতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হয়ে উঠছে।
সানজানা