ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭৫

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৮ জুন ২০২৫

ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭৫

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে চিকিৎসা সূত্র। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।

বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে ৩৩টি মরদেহ, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে ৬টি মরদেহ, এবং গাজা শহরের আল-শিফা ও আল-আহলি আরব হাসপাতালে আরও ৩৬টি মরদেহ আনা হয়েছে।

গাজা সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, গাজা শহরের সাবরা এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও প্রায় ৮৫ জন আটকে থাকতে পারেন

গাজা শহরের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বহু মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকারীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এই ঘটনাকে “সম্পূর্ণ গণহত্যা” বলে বর্ণনা করেছে।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে বলেন, শনিবার সাবরা এলাকার একটি বাড়িতে বোমা হামলার আগে "কোনো ধরনের সতর্কতা বা পূর্ব ঘোষণা দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী", যেখানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন

আহতদের মধ্যে একজন স্থানচ্যুত ফিলিস্তিনি হামেদ কিহেল বলেন, “আমরা ভোরে ঘুম থেকে উঠি বোমা বিস্ফোরণ, ধ্বংস আর মানুষের চিৎকারে। ঈদের দিন যেখানে সন্তানদের সাজিয়ে আনন্দে মেতে ওঠার কথা ছিল, সেখানে আমাদের উঠতে হলো নারীদের ও শিশুদের মরদেহ তুলতে।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এই অভিযানে মুজাহিদিন ব্রিগেডসের নেতা আসআদ আবু শরিয়াকে হত্যা করেছে, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত ছিলেন বলে তাদের দাবি। হামাস এক বিবৃতিতে আবু শরিয়া ও তার ভাই আহমেদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে এবং একে “বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নৃশংস হামলার অংশ” হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সানজানা

×