ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হালদায় বছরে ৩০০ কেজি নিষিক্ত ডিম থেকে রেণু, আয় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ১১:৩০, ৮ জুন ২০২৫

হালদায় বছরে ৩০০ কেজি নিষিক্ত ডিম থেকে রেণু, আয় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে জাতীয় মাছ রুই ও কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ার পর নিষিক্ত ডিম থেকে রেণু ফুটানোর কাজ ৪ জুন শেষ হয়েছে। ডিম সংগ্রহকারীরা নদী থেকে ডিম আহরণ থেকে শুরু করে রেণু ফুটানো পর্যন্ত টানা ৬ দিন অনেক কষ্ট করে। ৪ জুন থেকে রেণু বিক্রি শুরু করা হয়। আহরিত ১৪ হাজার ৫'শ কেজি ডিম থেকে রেণু পাওয়া যায় ৩০০ কেজি। প্রতি কেজি গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় রেণু বিক্রি করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত ব্যবসায়ী এসব রেণু কিনতে আসে।

মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি হালদা নদী থেকে সংগৃহীত নিষিক্ত ডিম থেকে রেনু উৎপাদনের পরিমাণ নিরূপণে কাজ করে।প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু সোমবার থেকে বিক্রি শুরু করা হয়েছে। প্রতি কেজি রেণুর দাম দেড় লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গড়দুয়ারা ডিম সংগ্রাহক কামাল সওদাগর। প্রথম দফায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রেণু বিক্রির প্রত্যাশা করা হলেও ৪ দিন বয়সের রেণু বিক্রি হয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার। এবার প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় রেণু ফোটানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্রেতাদের উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ডিম আহরণকারী ও রেণু উৎপাদনকারীদের মধ্যে। কারণ, বৃষ্টির কারণে রেণু উৎপাদন কেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা বন্যা ও ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়।

চাহিদা ও ক্রেতা সমাগমের ওপর ভিত্তি করে রেণুর দাম নির্ধারণ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। যেখানে রেনু উৎপাদনের প্রথম দিনে রেণু বিক্রি খাতে পাওয়া যায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা,সেখানে এ রেণু পূর্নাঙ্গ মাছে পরিনত হলে পরিসংখ্যানে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় হাজার কোটি টাকা। যাহা রাষ্ট্রের রাজস্ব খাতা যোগান দেয় ৫-৮ শতাংশ। তাই দেশে হালদা নদীর এত গুরুত্ব। 

আসিফ

×