ঈদ পরবর্তীতে খুলনার বাজারে সবজি ও মুরগীর মাংসের দাম কমেছে। ক্রেতাদের ভিড় কম থাকায় বাজারগুলো রয়েছে নিরব। অনেকে দোকানও খোলেননি। ঢিলেঢালাভাবে চলছে বেচাকেনা । গত সপ্তাহের তুলনায় সবজিতে দাম কমেছে ১০-১৫ টাকা। মুরগীর মাংসের দাম কমেছে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা।
রোববার (৮ জুন) নগরীর নতুন বাজার, রুপসা বাজার, গল্লামারি বাজার, নিউ মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, পটোল ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক কেজি ৩০ টাকা, পুই শাক ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি, মিষ্টি কমুড়া ৩০ টাকা কেজি, আলু ২০-২৫ টাকা, কাঁচকলা ২০ টাকা হালি, শসা ১০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা।মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা, লেয়ার মুরগী ২৫০-২৭০ টাকা কেজি দরে।
মাছের বাজারে, রুই মাছ ২৫০-৩০০, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, ভেটকি মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১৫০ টাকা কেজি এবং পাঙাস মাছ ১৩০-১৬০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা সালাম গাজী বলেন, সকালে দোকান খোলা অভ্যাস। অলস সময় কাটাতে পারি না। এজন্য হালকা পাতলা সবজি নিয়ে দোকান খুলেছি। তবে এ সপ্তাহ তেমন খদ্দের আসবে না বাজারে।
রূপসা বাজারের সবজি বিক্রেতা কালাম মিয়া বলেন, সবজির দাম এ সপ্তাহেও অনেক কমছে। প্রায় সব সবজি ২০—৪০ টাকার মধ্যে সব সবজির দাম। তবে শসার দাম একটু বেশী। পাইকারি বাজারে আজকে তেমন কোনো মাল আসে নাই। তাই শাক সবজি নিয়ে বসেছি।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের মুরগী বিক্রেতা কাওসার বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই মুরগীর দাম কম। ঈদে মুরগীর চাহিদা কম থাকায় দাম অনেকটা কমে যায়। সব ধরনের মুরগীতে ৩০—৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
গল্লামারি বাজারের মাছ বিক্রেতা সুবেদার বলেন, কোরবানির পর মাছের বাজার ঠান্ডা থাকে। কাষ্টমার নাই মাছের। কেয়ক পদের ছোট মাছ আর ঘেরের তেলাপিয়া মাছ বিক্রি করতেছি। এ সপ্তাহে মোকামে মাছের চালানও কম থাকবে।
নতুন বাজারে আসা শুভ রায় বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেকটা কম আছে। আর মাছের বাজারেও মোটামুটি দাম কম। মুরগীর মাংসের দামও অনেক কমেছে।
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী হোসেইন শেখ বলেন, আজকে ঈদের দ্বিতীয় দিন। দূর থেকে কাচাঁ সবজি আসেনি। মজুত থাকা সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এজন্য বাজার প্রায় ফাঁকা।
মুমু
