ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহতী উদ্যোগ

বাঙলা কলেজে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি

কন্ট্রাবিউটিং রিপোর্টার, বাঙলা কলেজ

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ৮ জুন ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৫, ৮ জুন ২০২৫

বাঙলা কলেজে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি

ছবিঃ জনকণ্ঠ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা, ঈদুল আযহা উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমধর্মী ও মানবিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গতকাল ৭ই জুন ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ৬০জন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর মাঝে কোরবানির গরুর মাংস বিতরণ করা হয়।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাঙলা কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ। সকাল থেকেই কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রশিবিরের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন ব্যাগ প্রস্তুতি ও বণ্টন কার্যক্রমে। সুশৃঙ্খল পরিবেশে প্রত্যেক উপকারভোগীর হাতে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়। 

বাঙলা কলেজ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সাইফুর রহমান সাকিব বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ইসলামী আদর্শ কেবল ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর প্রকৃত রূপ প্রকাশ পায় সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে। আজকের এই উদ্যোগ তারই এক ক্ষুদ্র প্রতিফলন। “আমরা প্রতিবছরই চেষ্টা করি সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মাঝে ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে। এ বছর কলেজের অসচ্ছল ছাত্র ও কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল তাদের মুখে হাসি নয়, সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ধরনের কার্যক্রম আরও বৃহৎ পরিসরে অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”

আরেকজন দায়িত্বশীল বলেন, “ছাত্রশিবির কেবল একটি ছাত্রসংগঠন নয়—এটি আদর্শবান, দায়িত্বশীল, মানবিক নেতৃত্ব তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা বিশ্বাস করি, একটি শিক্ষার্থী কেবল বইয়ের জ্ঞান অর্জন করে পূর্ণ মানুষ হতে পারে না; তাকে নৈতিকতা, মানবিকতা, এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েও বেড়ে উঠতে হয়। আমরা আমাদের সহপাঠী, ভাই-বোন ও কর্মচারীদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

এই মহতী উদ্যোগটি শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই জানান, ঈদের দিনটিকে বিশেষভাবে উপভোগ করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।

কর্মসূচিতে উপস্থিত এক প্রবীণ কর্মচারী বলেন, "বছরের পর বছর আমরা কোরবানি করতে পারি না। ছাত্রশিবিরের ছেলেরা আজকে যা করলো  তা আমাদরে সন্তানদের মতোই। ওরা দেখিয়েছে ঈদের আনন্দ শুধু ধনী বা সক্ষমদের নয়, সকলের।"

এই ধরনের সেবামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাঙলা কলেজে একটি মানবিক ও সহানুভূতিশীল শিক্ষার পরিবেশ গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষার্থীরা।

আলীম

×