সৌদি আরব ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে হতে যাওয়া সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। তবে দেশ দুটি পরিকল্পনাটি আপাতত বাদ দিয়েছে।
১৭ থেকে ২০ জুন হতে যাওয়া সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে লবিং করছিল ফ্রান্স। যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্রদের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল ফ্রান্স।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ফরাসি কর্মকর্তারা ইসরায়েলিদের জানিয়েছে তারা আসন্ন সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে না। এর বদলে তারা ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ তৈরি করবে। যারমধ্যে থাকবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি সরকারকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব। সঙ্গে থাকবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো শুক্রবার বলেন, সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া "প্রতীকী" সিদ্ধান্ত হতো, তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে এই স্বীকৃতিতে মিত্রদের সমর্থন ছাড়া তারা এগোতে পারেন না।
বর্তমানে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু ইউরোপের অনেক দেশ দীর্ঘদিন ধরে এই পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক, কারণ তারা মনে করে এর জন্য ইসরায়েলের সম্মতি এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
তবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ে গত বছর একতরফাভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং বর্তমানে ইউরোপে এই স্বীকৃতি একতরফাভাবে দেওয়ার পক্ষে মতবিভাজন ক্রমেই বাড়ছে, যেন এটি ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরির হাতিয়ার হয়।
সানজানা
