ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীর হুমকি প্রতিহত করেছে পাকিস্তান!

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ২০ মে ২০২৫

ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীর হুমকি প্রতিহত করেছে পাকিস্তান!

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ করাচি সফরে এসে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা জানিয়েছেন। 

সোমবার (১৯ মে) তিনি বলেন, ‍“নৌবাহিনী সমুদ্রপথে যোগাযোগ সুরক্ষা এবং সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দুর্দান্ত দক্ষতা ও স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে সফরকালে প্রধানমন্ত্রীকে বাহিনীর কৌশলগত পরিকল্পনা, সামরিক প্রস্তুতি এবং সাম্প্রতিক সংঘাতে তাদের অবদানের বিষয়ে অবহিত করা হয়।

তিনি বলেন, “ভারতের বিমানবাহী রণতরী বিক্রান্ত পাকিস্তানের সীমানা থেকে মাত্র ৪০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছিল, কিন্তু পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর অন্যত্র দেওয়া জোরালো প্রতিরোধে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে এবং নৌবাহিনীর পূর্ণ প্রস্তুতি দেখে সরে যেতে বাধ্য হয়।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “নৌবাহিনী অতীতেও ‘অপারেশন দ্বারকা’র মতো সফল অভিযান চালিয়েছে। প্রয়োজনে আবারও সেই রকম উচ্চমাত্রার অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা তাদের রয়েছে।”

তিনি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর পারস্পরিক সমন্বয়কে দেশের ইতিহাসের ‘সোনালী অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, স্থলবাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে শত্রুর অবস্থানে ‘ফাতেহ’ ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করে আঘাত হেনেছে।

প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাহসিকতা, কার্যকর প্রতিরোধ ও বাণিজ্যিক নৌপথ সুরক্ষায় অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “যদি ভারত সমুদ্রপথে পাকিস্তানে হামলা করার সাহস দেখাতো, তাহলে নৌবাহিনী উপযুক্ত জবাব দিত।”

তিনি আরও জানান, গত ১৫ বছরে নৌবাহিনী নিজস্ব প্রযুক্তিতে অসামান্য অগ্রগতি করেছে। “আমি পাকিস্তান নৌবাহিনীকে অভিনন্দন জানাই, যারা নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জন করেছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শান্তির মানুষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তিনি কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, “দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে ট্রাম্প যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা প্রশংসনীয়। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার প্রতি, তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তরিক ভূমিকা পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও চীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পহেলগাম হামলা নিয়ে স্বতন্ত্র ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি সমর্থন করেছে।

তিনি প্রশ্ন করেন, “ভারত কেন এই তদন্ত প্রস্তাব গ্রহণ করছে না?”

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ। সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনীর এবং বিমানবাহিনী প্রধান জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিক।

সূত্র: https://rb.gy/87g0xn

মিরাজ খান

×