ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বহুমুখী ভূরাজনৈতিক চাপের মুখে তেলবাজারে সতর্ক প্রবণতা

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২০ মে ২০২৫

বহুমুখী ভূরাজনৈতিক চাপের মুখে তেলবাজারে সতর্ক প্রবণতা

ছবি: সংগৃহীত

তেলের দাম সামান্য বেড়েছে সোমবার (১৯ মে), কারণ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত বাজারে উদ্বেগ তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম ঋণমান হ্রাসের প্রভাবকে ম্লান করে দিয়েছে।

ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস প্রতি ব্যারেল ১৩ সেন্ট বেড়ে ৬৫.৫৪ ডলারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ২০ সেন্ট বেড়ে ৬২.৬৯ ডলারে বন্ধ হয়। উভয় চুক্তির দাম গত সপ্তাহে ১%-এর বেশি বেড়েছিল।

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, “ওয়াশিংটন যদি তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে বাধ্য করতে চায়, তবে পারমাণবিক আলোচনা কোথাও যাবে না।”

এই মন্তব্য চুক্তির সম্ভাবনাকে ধাক্কা দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পথ তৈরি করতো এবং ইরানকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানির সুযোগ দিত বলে মন্তব্য করেছেন স্টোনএক্স বিশ্লেষক অ্যালেক্স হোডস। “এখন সেই সম্ভাব্য রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটাই অনিশ্চিত।”

মুডি'সের যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম ঋণমান হ্রাস বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল ভোক্তা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি, চীনের শিল্প উৎপাদন ও খুচরা বিক্রির ধীরগতি থেকেও বাজারে চাপ এসেছে।

ইউবিএস বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো বলেন, “চীনের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল অর্থনৈতিক তথ্য তেলের জন্য সহায়ক নয়, যদিও এটি বড় ধাক্কা নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট মন্তব্য করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে হারে আগেই শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করবেন যদি বাণিজ্য অংশীদাররা 'সৎভাবে' আলোচনা না করে।

আগেইন ক্যাপিটালের পার্টনার জন কিলডাফ বলেন, “শুল্ক, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার আলোচনা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা নজর রাখছেন, তাই তেলের দাম অস্থিরই থাকবে।”

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর বলেন, ‘মস্কো ইউক্রেনের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত এবং যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা সঠিক পথে রয়েছে।’

লিপো অয়েল অ্যাসোসিয়েটসের সভাপতি অ্যান্ড্রু লিপো বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে মস্কোর ওপর কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে, যা রাশিয়ার তেল রপ্তানি বাড়িয়ে বৈশ্বিক সরবরাহ বাড়াবে এবং বাজারে আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’

সূত্র: https://shorturl.at/uVRq1

মিরাজ খান

×