
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মহানগরে মোবাইল ছিনতাই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। দিনে-দুপুরে ব্যস্ততম সড়ক কিংবা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতেও নিরাপদে মোবাইল ব্যবহার এখন চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীর জিইসি মোড়, টাইগারপাস, আন্দরকিল্লা, অক্সিজেন মোড়, বহদ্দারহাট, অলংকার মোড়, নিউ মার্কেট, দুই নম্বর গেইট, আগ্রাবাদ এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এলাকা—প্রতিদিনই এ ধরনের ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ভদ্রলোকের ছদ্মবেশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ছিনতাইকারীরা সুযোগ বুঝে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বিশেষ করে মোবাইলে কথা বলা কিংবা ব্যস্ত থাকা পথচারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। কখনো ধাক্কাধাক্কির ভেতর, কখনো আবার কথার ফাঁকে কৌশলে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মোবাইল ছিনতাই এখন সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। একাধিক গ্রুপ ভাগ হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেয়। ছিনতাইয়ের পর মোবাইল দ্রুত বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কিছু চোরাই মার্কেটের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
ছিনতাইকারীরা সাধারণ পোশাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। মোবাইল ব্যবহাররত পথচারীকে টার্গেট করে ধাক্কা বা হালকা কথার ফাঁকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এই চক্র। দলবদ্ধভাবে ভিড়ের মধ্যে কাজ করে তারা। তারপর ছিনতাই শেষে দ্রুত গলির ভেতর পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ক্রাইম বিভাগের ডিসি আলমগীর হোসেন বলেন, ছিনতাই প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং সাদা পোশাকে টহল জোরদার করা হয়েছে।
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছিনতাইকারীরা দিনের পর দিন একই এলাকায় তৎপর থাকলেও অনেক সময় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। থানায় অভিযোগ করতে গেলে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু অভিযান নয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা জরুরি।
নগরবাসীর অভিযোগ, প্রতিদিন বাড়তে থাকা মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কার্যকর ও গোছানো পদক্ষেপ নিতে হবে বলেই মনে করছেন সবাই। পাশাপাশি নাগরিকদেরও নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হতে হবে আরও সচেতন ও সতর্ক।
মুমু