
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলে বসবাসরত কিছু নাগরিক গাজা যুদ্ধ নিয়ে গভীরভাবে মর্মাহত এবং লজ্জিত। তেমনি একজন মানবিক সহায়তাকর্মী ইয়ায়েল নোয়ি, যিনি ‘রোড টু রিকভারি’ নামক দাতব্য সংস্থার প্রধান। এই সংস্থাটি ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরায়েলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সাহায্য করত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় তাঁর পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবক নিহত হন এবং আরও দুজন অপহরণের পর হত্যা করা হয়। সেই দুঃসহ ক্ষতির বেদনা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন ইয়ায়েল, কিন্তু একইসঙ্গে তিনি প্রতিদিন শুনছেন গাজার ভীত ও হতাশাগ্রস্ত পরিবারগুলোর কথা, যাদের তিনি যুদ্ধের আগে নিয়মিত সাহায্য করতেন।
তিনি বলেন, “আমি এখন নিজেকে ইসরায়েলি বলতে লজ্জা পাই। আমি পৃথিবীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি—এই যুদ্ধ এখনই বন্ধ করুন। এটা আমার নামে চলছে। আমি একজন ভালো মানুষ হতে চাই। কিন্তু আমার করের টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে এমন এক যুদ্ধে, যেখানে হাজার হাজার শিশু নিহত হয়েছে। এটা এখন গণহত্যায় পরিণত হয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে আমরা খোলামেলা কথা বলতেই পারি না।”
ইয়ায়েলের মতে, “আমাদের এখনই যুদ্ধ থামাতে হবে, বন্দীদের ফিরিয়ে আনতে হবে এবং আমাদের সৈন্য ও সাধারণ নাগরিকদের জীবন রক্ষা করতে হবে।”
সবচেয়ে ভয়ংকর আশঙ্কা
ইয়ায়েলের সবচেয়ে বড় ভয়—যদি এই যুদ্ধ এখনই থামানো না হয়, তাহলে তার ১৮ বছর বয়সী ছেলেকেও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে এই ‘ভয়ংকর, অনৈতিক’ যুদ্ধে অংশ নিতে হতে পারে।
এই মায়ের কণ্ঠে উঠে এসেছে একটি জাতির বিবেকের কথা, যারা মানবতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নিতে চাইলেও যুদ্ধের বাস্তবতায় বাধা পাচ্ছে।
সূত্রঃ বিবিসি
ইমরান