
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান সামরিক মহড়া চালিয়ে তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে। এই মহড়ায় দেশটি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির পাশাপাশি, সীমান্ত রক্ষা এবং সম্ভাব্য আগ্রাসনের জন্য প্রস্তুতি দেখাচ্ছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রে জানা যায়, ২ মে (শুক্রবার) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য প্রকাশ করে।
এই মহড়ায় ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি ও পদাতিক ইউনিটসহ হালকা ও ভারী অস্ত্রের ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার সক্ষমতা নিশ্চিত করা, যাতে তারা সীমান্ত রক্ষা করতে পারে।এদিকে, নিরাপত্তা সূত্র আরও নিশ্চিত করেছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যেকোনো শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
উল্লেখযোগ্য যে, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা চলাকালে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত রিজওয়ান সাঈদ শেখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এছাড়া, চীন পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। চীনের কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন লাহোরে এক বৈঠকে জানিয়েছেন, "বিজয় বা সংকট—সব পরিস্থিতিতেই চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে।"
রাজু