
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ রাস্তায় নামেন। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষ পর্যন্ত, সবাই অংশ নিয়েছে এই বিক্ষোভে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তেও আয়োজিত মে দিবসের র্যালিতে ট্রাম্পবিরোধী বার্তা দেখা গেছে।
এদিনের বিক্ষোভের প্রধান আয়োজক ছিল ‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন, যা মূলত বামপন্থি কিছু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত। সংগঠনের নামের অর্থ হলো, ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। সংগঠনটি পূর্বেও বেশ কয়েকবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
সংগঠনটির তথ্য মতে, মে দিবসের এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো বড় শহরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়, আর ছোট শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় সমবেত হন।
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ৫৪ বছর বয়সী শেন রিডল বলেন, "আমরা মনে করি, অতি ধনীরা দেশকে দখল করে নিচ্ছে এবং শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দমন করছে।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের নাগরিকেরা যদি এই প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হতে পারে।"
নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন শহরের বিক্ষোভের মধ্যে একযোগে বহু মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হন, যা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবং এএফপির আলোকচিত্রীরা নিশ্চিত করেছেন।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "এই অভিবাসীরাই তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে।"
এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ট্রাম্প এবং তার বিলিয়নিয়র মিত্র ইলন মাস্ক দুই লাখেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। এছাড়াও প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের আটক করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
রাজু