ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে দাঙ্গা
ব্রিটেনের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে বুধবার কমপক্ষে ৩০টি বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে দাঙ্গার আশঙ্কায় ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরইস মধ্যে চার শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সব সম্প্রদায়কে নিরাপদে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে জরুরি বৈঠকের পর তিনি এমন প্রতিশ্রুতি দেন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, রাজধানীজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। এরই মধ্যে চার শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে একটি নাচের কর্মশালায় ছুরিকাঘাতে তিন শিশুকে হত্যার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সাউথপোর্টের ওই নাচের কর্মশালায় ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে। তিন শিশু নিহতের পাশাপাশি আহত হয় আরও সাতজন।
এ হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে যে, হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন উগ্র ইসলামপন্থি অভিবাসী। এরপর ৩০ জুলাই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিবাসন বিরোধী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। সাউথপোর্টে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
অনেক স্থানে ভাঙচুর এবং লুটপাটের খবরও পাওয়া যায়। ফলে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেয় জনগণের মাঝে। সাউথপোর্টে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে সাধারণ মানুষ। অনেক স্থানে ভাঙচুর এবং লুটপাটের খবরও পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের উপ-সহকারী কমিশনার অ্যান্ডি ভ্যালেন্টিন বলেন, আমরা আমাদের সড়কে এসব সহ্য করবো না। তিনি বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলা রোধ করতে সব রকমের শক্তি, কৌশল এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করবো। আমরা গত সপ্তাহে সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছি। যদি তারা সহিংসতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে আসে তবে আরও লোকজনকে গ্রেপ্তার করতেও আমরা দ্বিধাবোধ করবো না।
