ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মদিনে সুখবর বয়ে এনেছে আকাশি নীল রঙের ব্যাঙ

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৯:২৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

জন্মদিনে সুখবর বয়ে এনেছে আকাশি নীল রঙের ব্যাঙ

আকাশি নীল রঙের ব্যাঙ

জাপানের কিয়োটোতে এক ব্যক্তি তার বড় ছেলের জন্মদিনে নিজের ধানক্ষেতে আকাশি নীল রঙের ব্যাঙের সন্ধান। ছেলের জন্মদিনে তাই বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পেরেছেন ওই ব্যক্তি।

৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ৪ সেপ্টেম্বর ধান কাটতে গিয়ে আবিষ্কার করেন ব্যাঙটিকে। জাপানি গেছো ব্যাঙ সাধারণত সবুজ হয়, তবে এটির শরীরে জন্মগতভাবে হালকা হলুদ রঙের মিশেলে নীল রঙ হয়ে গেছে বলে মনে হয়।

গেছো ব্যাঙের দেহ সব সময় ভেজা থাকে। ফুফফুস থাকলেও সে তার ত্বকের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়। গেছো ব্যাঙ গাছে চড়লেও পড়ে যায় না। কারণ তখন তার পায়ের পাতা প্যাডের মতো কাজ করে। তাই সে টিকটিকির মতো বেয়ে গাছের উপরে ও নিচে নামতে পারে। গেছো ব্যাঙের পায়ের আঙুল লম্বা ও নরম। তাই সে গাছের ডাল কিংবা পাতায় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে বা হাঁটতে পারে। তাছাড়া, গেছো ব্যাঙ তার গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। আশপাশের পরিবেশ বা শত্রুর আক্রমণ থেকে লুকোতে সে এই কাজ করে।

আরো পড়ুন : গোলাপী আর সাদা পদ্ম ফুল দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

যদিও ব্লুবার্ড বিশ্বের বহু সংস্কৃতিতে আনন্দের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে ওই ব্যক্তি বলেন যে তিনি মনে করেন, নীল ব্যাঙটি তার এবং তার ছেলের জন্য সুখ বয়ে এনেছে।

কাকতালীয়ভাবে, লোকটি তার এই ব্যাঙ আবিষ্কারের আগের দিন, হায়োগো প্রিফেকচারের কিনোসাকি মেরিন ওয়ার্ল্ড পরিদর্শন করার সময় কেবলমাত্র একটি নীল জাপানি গেছো ব্যাঙ দেখেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি অভিভূত যে এটি এখন আমার ক্ষেতে রয়েছে’। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের জন্মদিনে, এটি আসলে ভালো কিছু বার্তা নিয়ে এসেছে’।

৫ সেপ্টেম্বর লোকটির ছেলে ব্যাঙটিকে তার নার্সারিতে নিয়ে গেলে বাচ্চারা আনন্দে উল্লাস করতে থাকে। তবে এসব ব্যাঙ লালন-পালন করা অপেশাদারদের পক্ষে কঠিন এবং নীল ব্যাঙের শরীর কালো হতে শুরু করায়, লোকটি এটিকে আবার ছেড়ে দেয়। যেখানে তিনি এটি খুঁজে পেয়েছেন সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙটি।

কিনোসাকি মেরিন ওয়ার্ল্ডের প্রজনন ব্যবস্থাপক বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এবং একটি অপরিচিত পরিবেশের কারণে এটি কালো হতে পারে। তাই যদি লোকেরা তাদের খুঁজে পায় তবে তাদের একা ছেড়ে দেওয়া উচিত’।

সূত্র: কিয়োডো সংবাদ সংস্থা

টিএস

×