ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

শুধু মিসাইল নয়, ইরানের আছে আরও শক্তিশালী অস্ত্র!

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২১ জুন ২০২৫

শুধু মিসাইল নয়, ইরানের আছে আরও শক্তিশালী অস্ত্র!

ছ‌বি: সংগৃহীত

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। মাত্র এক সপ্তাহেই ইরানের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। অনেকেই মনে করছেন, এবার হয়তো ‘অজেয় ইসরায়েল’ ধারণার অবসান ঘটতে চলেছে।

ইরান শুধু সামরিক শক্তির জন্য নয়, তার কৌশলগত অবস্থান ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির জন্যও বিশ্বজুড়ে পরিচিত। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের কোনো সীমান্ত ইসরায়েলের সাথে নেই, ফলে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানকে দমন করা একপ্রকার অসম্ভব। আর স্থলযুদ্ধে ইরানে প্রবেশ করাটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।

ইসরায়েল এতদিন ধরে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (আয়রন ডোম, ডেভিড স্লিং ও অ্যারো সিস্টেমের) মাধ্যমে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য বলেই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাস্তবে ইরানের মিসাইল হামলায় এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে। যুদ্ধের শুরুতেই ইরান যেন ইসরায়েলের সব গর্ব ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

তবে ইরান শুধু মিসাইলে শক্তিশালী নয়। দেশটির রয়েছে আরও অনেক ভয়ঙ্কর ও কৌশলগত শক্তি। বিশাল আয়তনের এই দেশটি ইসরায়েলের চেয়ে প্রায় ৮০ গুণ বড়। তার উপর হরমুজ প্রণালী বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ ইরানের নিয়ন্ত্রণে। এই পথ বন্ধ করে দিয়ে ইরান চাইলেই বিশ্ববাণিজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটাতে পারে।

ইরান অনেক আগেই বুঝেছিল, একদিন ইসরায়েল তাদের দিকেও হাত বাড়াবে। তাই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা নিজেদের প্রযুক্তিতে এমন সব অস্ত্র তৈরি করেছে, যেগুলো বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

আরও বড় কথা, ইরান তার আসল শক্তিগুলো এখনো পুরোপুরি প্রকাশ করেনি। বিশাল ভূখণ্ডজুড়ে ছড়িয়ে আছে তাদের সামরিক গোপন ঘাঁটি। এসব শক্তিকে প্রতিহত করতে হলে ইরানের ভেতরে ঢুকে যুদ্ধ করতে হবে, যা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের জন্য বড় ঝুঁকি।

লেবানন ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সামনেই যখন ইসরায়েলকে হিমশিম খেতে হয়, তখন ইরানের বিরুদ্ধে স্থলযুদ্ধে নামা কার্যত আত্মহননের শামিল— এমনটাই মনে করছেন অনেক সামরিক বিশ্লেষক।

এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে ইরানের অস্ত্র শুধু ধ্বংসের নয়, ভয়হীন প্রস্তুতিরও প্রতীক। আর সেটাই তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/_tVht_Ar4s0?si=DCEUf8k9NqtFVwrL

এম.কে.

×