
তুরস্কে একটি নতুন যুগের সূচনা ঘটছে এবং ‘শতাব্দীর তুর্কি’ (Century of Türkiye) ভিশন এখন বাস্তব রূপ নিতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
রবিবার রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) ৩২তম পরামর্শ ও মূল্যায়ন সভায় ভাষণদানকালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, “আমাদের দেশের জন্য একটি নতুন যুগ শুরু হচ্ছে। ধাপে ধাপে আমরা ‘শতাব্দীর তুর্কি’ ভিশনকে বাস্তবে পরিণত করছি।”
সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বলতে গিয়ে এরদোয়ান বলেন, “আমাদের যে বার্তাগুলো বন্ধু ও ভাইদের মনে নিরাপত্তা জাগিয়ে তোলে এবং শত্রু ও প্রতিপক্ষের মনে ভয় সৃষ্টি করে, সেগুলো এখন তাদের ঠিক ঠিকানা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, পিকেকে (PKK) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া সরেজমিনে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এমআইটি) ও সশস্ত্র বাহিনী। এই প্রক্রিয়াকে পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
“আমরা জানি আমরা কার বিরুদ্ধে লড়ছি এবং কারা তাদের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে,” মন্তব্য করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, “আমাদের মূল প্রতিপক্ষ কেবল পুতুল নয়, বরং যারা তাদের চালাচ্ছে সেই পুতুলনাচিয়ারা।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “কেউই তুরস্ককে আর সন্ত্রাসবাদের আধাশতাব্দীর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে বাধা দিতে পারবে না।” এরদোয়ান জানান, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদের কারণে তুরস্কের আর্থিক ক্ষতি ইতোমধ্যেই দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তার সরকার তুরস্কের জাতীয় অগ্রযাত্রা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিক সচেতন ও প্রস্তুত। ‘শতাব্দীর তুর্কি’ ভিশনের এই পথচলা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং একটি শক্তিশালী জাতীয় পুনর্জাগরণের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সূত্র:https://tinyurl.com/mswz5ekd
আফরোজা