
কিয়েভে আরেকটি আবাসিক ভবনে রুশ হামলার ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে গত তিন বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে রুশ সরকার। রাশিয়ার দুর্গ অর্থনীতি কাঠামো শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কোমেরসান্টে এই গবেষণাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। খবর আরটির।
যুদ্ধ শুরুর পর অনেক পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান রুশ বাজার থেকে পালিয়েছে। তাদের ফেলে যাওয়া সম্পদ যেমন রুশ কোষাগারে জায়গা পেয়েছে তেমনি কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুশ ব্যবসা রাষ্ট্র দখল করে নিয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক অভিযান শুরুর প্রতিক্রিয়ায় মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিল কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা। এগুলোকে বরাবরই অবৈধ পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
এই সময়ের মধ্যে একের পর এক ডিক্রি জারি করে জার্মান ইউনিপার থেকে শুরু করে ডেনিশ কার্লসবার্গসহ অসংখ্য পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান জব্দের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন তিনি। পশ্চিমার পাশাপাশি নিজস্ব একাধিক প্রতিষ্ঠানও জব্দ করেছে ক্রেমলিন। কৌশলগত সম্পদ, দুর্নীতির অভিযোগ, বেসরকারিকরণের নীতি লঙ্ঘন অথবা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে এগুলো জব্দ করা হয়। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। একই তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট।
মস্কোভিত্তিক আইন প্রতিষ্ঠান এনএসপি জানায়, গত তিন বছরে ৩ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন রুবলের বা প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গত তিন বছরে জাতীয়করণ হয়েছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার বাজারভিত্তিক অর্থনীতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ’৯০-এর দশকে দুর্নীতি, আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক সিন্ডিকেট সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়।
পুতিনের শাসনামলে দেশটির অর্থনৈতিক মুক্তি এবং প্রবৃদ্ধি এসেছিল। সেসময় রাশিয়ার অর্থনীতি ১৯৯৯ সালে ২০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০০৮ সালে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়। তবে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় এবং ২০২২ সালের ইউক্রেন আক্রমণের পর তা আরও তীব্র হয়। এরপর থেকে অর্থনীতি নিয়ে অনেকটাই বেকায়দায় আছে মস্কো।
এদিকে কিয়েভে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের এসবিইউ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত ওই হামলাকারী গুলি চালানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
প্যানেল মজি