ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ২১ মে ২০২৪

মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

পুরস্কার বিতরণের পর ফটোসেশন।

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কার্নিভাল এবং এ দিবস উপলক্ষে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ মে) কুয়ালালামপুরের দেওয়ান বাহাসা দান পুসতাকায় এ কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, মালয়েশিয়ার পক্ষে তামিল ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া, এলএলজি কালচারাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এ কার্নিভালে কৌশলগত অংশীদার ছিল কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এছাড়া, অন্যান্য এনজিও যৌথ সংগঠক কৌশলগত অংশীদার হিসাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে।

কার্নিভালে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া একটি সুসজ্জিত স্টল প্রতিষ্ঠা করে। যেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর লিখিত বই প্রদর্শিত হয়। এছাড়া, ভাষা আন্দোলনের ওপর ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্নিভালে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর। এছাড়া, বক্তব্য দেন- তামিল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট এলানজেনিয়াল ভেনুগোপাল, চেয়ারম্যান স্টানলি ইয়ং এবং অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান কুগেনেস্বরান তামিলমানি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ডেপুটি হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।

অন্যান্য বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন।

কার্নিভালে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্কুলের দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এ আয়োজনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়।

 

এম হাসান

×